ঢাকা: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)’র বার্ষিক সভায় যোগ দিতে হংকংয়ে যাচ্ছেন, যেখানে অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হবে। অন্যতম হলো আইসিসির সভাপতি পদে নির্বাচন।
শর্তটা হলো পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের রোটেশন সম্পন্ন হওয়ার পরই নির্বাচনের পক্ষে বিসিবি। অর্থাৎ আইসিসির সভাপতি হওয়ার উচ্ছাভিলাসী স্বপ্ন নিয়ে আইসিসির প্রস্তাবের আংশিক বিরোধীতা করতে যাচ্ছেন মোস্তফা কামাল। তবে বিসিবিতে সভাপতির পদে নির্বাচন হলে আপত্তি নেই মোস্তফা কামালের।
বিসিবি অবশ্য জানে বাংলাদেশের ওই প্রস্তাব ধোপে নাও টিকতে পারে। শুধু পাকিস্তানের সঙ্গে তালমিলিয়ে সুযোগটা নেওয়া। রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি জানায়, ১২ জুন ইন্ডিয়ান ক্রিকেট বোর্ড ও আইসিসির সভাপতি শারদ পাওয়ারের কাছে চিঠি দিয়ে নিজেদের মত প্রকাশ করেছে বিসিবি। লেখা হয়েছে,“আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলে সভাপতি মনোনয়নের চক্র পূর্ণ হওয়ার পর বাংলাদেশ চায় নির্বাচিত সভাপতি পদ্ধতি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হোক। ”
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড থেকে চিঠির জবাব সম্পর্কে কিছু লেখা হয়নি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। নিশ্চয়ই ইন্ডিয়ান ক্রিকেট বোর্ড তেমন কিছু বলেনি। তেমন কিছু হলে আইসিসির বার্ষিক উল্টো সুরে গান গাওয়ার কথা ভাবতে পারতেন না বোর্ড সভাপতি। হতে পারে কূটনীতির আশ্রয় নেওয়ার জন্য বিসিবিকে প্রস্তাবের বিরোধী দলের কাতারে দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে বিসিসিআই।
আগের নিয়ম বহাল থাকলে নিউজিল্যান্ডের পরই পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আইসিসির সভাপতি হওয়ার সুযোগ।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১১