ঢাকা: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)’র মহিলা শাখা থেকে ২৫ জন ক্রিকেটারের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। মহিলা শাখার চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল ফোয়াদ রেদোয়ান তার সাঙ্গপাঙ্গদের মতামতের ওপর ভিত্তি করে ওই তালিকা তৈরি করেছেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে খেলোয়াড় বাছাইয়ে কোচ দিপুরায় চৌধুরীরও হাত আছে। সেজন্য ওই দলের ওপর পূর্ণ আস্থা কোচের। বলছিলেন,“এই তালিকায় যারা আছে তাদের বাইরে যে খেলোয়াড় নেওয়া যাবে না তা নয়। নির্বাচকরা চাইলে নেওয়া যাবে। ”
মূলত মহিলা ক্রিকেট দল নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জাতীয় দল নির্বাচকদের ওপর। ঢাকা ক্লাব ক্রিকেট লিগের খেলা দেখে প্রাথমিক ক্যাম্পের জন্য ৩১ জনের একটি তালিকাও তৈরি করেছেন প্রধান নির্বাচক আকরাম খান। সোমবার মহিলা ক্রিকেটারদের নাম ঘোষণা করা হবে বলে রোববার বাংলানিউজকে জানান প্রধান নির্বাচক। বাছাইকৃত খেলোয়াড়দের নিয়ে চট্টগ্রাম মহিলা কমপ্লেক্সে কন্ডিশনিং ক্যাম্প হবে ২৯ জুন থেকে। ১৫ দিনের ক্যাম্প শেষে তালিকা ছোট করে আনা হবে। বেশি সংখ্যাক ক্রিকেটার নেওয়ার পেছনে আকরাম খানের যুক্তি,“জাতীয় দলের সঙ্গে অন্য মেয়েদের পার্থক্য অনেক। ব্যবধানটা কমিয়ে আনতেই বেশি খেলোয়াড় নেওয়া হচ্ছে। ”
প্রশ্ন হলো নির্বাচকদের ওপর দায়িত্ব দেওয়ার পর মহিলা শাখা থেকে খেলোয়াড় বাছাইয়ের যৌক্তিকতা নিয়ে। রেদোয়ান এবং দিপুরায় চৌধুরী যদি খেলোয়াড় বাছাই করবেন, তাহলে নির্বাচকদের দায়িত্ব দেওয়ার প্রয়োজন কোথায়? যদি রেদোয়ান বলেছেন অন্য কথা। “আমরা ২৫ জনের একটা তালিকা তৈরি করেছি। বাকি পাঁচজন আকরাম খানের সঙ্গে বসে ঠিক করে নেওয়া যাবে। ”
আকরাম খানের নির্বাচিত খেলোয়াড়দের দেখেছেন রেদোয়ান। সেখান থেকে কয়েকটি নাম ছেটে ফেলা হয়েছে। শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ ৩১ জনের দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে আনসারের খেলোয়াড় শাহনাজ পারভিনকে। এবিষয়ে জানতে চাইলে মহিলা শাখার প্রধান বাংলানিউজকে বলেন,“ওই মেয়ের আচরণে সমস্যা আছে। উচ্ছৃঙ্খল। ”
এশিয়ান গেমসের ১৮ জনের দলে রাখা হয়েছিলো শাহনাজকে। ক্লাব লিগেও খারাপ খেলেননি শাহনাজ। তারপরেও তাকে ৩১ জনের দলে রাখা হচ্ছে না। মেয়েদের জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে শাহনাজ একটু হৈচৈ করতে পছন্দ করেন। অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেও ছারেন না। এটাই তার অপরাধ।
রেদোয়ানের দলে না থাকলেও আকরাম খানের তালিকায় আছেন শাহনাজ। শেষপর্যন্ত নির্বাচকরা তাকে রাখতে পারবেন কি না তা দেখার জন্য একদিন অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।
মহিলা শাখার দল: সুকতারা রহমান, সায়লা শারিমিন, রুমানা আহমেদ, লতা মন্ডল, আয়শা আক্তার, সাথিরা জাকির জেসি, শারমিন আক্তার সুপতা, পান্না ঘোষ, সালমা খাতুন, তুহীন তাহেরা, ফারজানা হক পিঙ্কি, চামেলী খাতুন, সুবর্না ইসলাম, সুলতানা ইয়াসমিন বৈশাখী, নুজহাত তাসনিন টুম্পা, জাহানারা আলম, রিতু মনি, তাজিয়া আক্তার, সোহেলী আক্তার, তিথি রানী, চম্পা চাকমা, মোর্শেদা খাতুন, ফাতেমা তুজ জোহরা, তৃপ্তি মন্ডল, লিলি রানী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০১১