কলম্বো: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২০টি বছর কেটে গেছে। খেলেছেন পাঁচটি বিশ্বকাপ।
শুধু একটি বিশ্বকাপ সাফল্যের পালক মুকুটে যোগ হলেই কোন আক্ষেপ থাকার কথা নয় ব্যাটিং জিনিয়াসের। কারণ সাফল্যের সোপান বেয়ে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছেন মহানায়ক। অনেক রেকর্ডেরই স্বাদ নিয়েছেন। ক্রিকেটের বরদেবী তাকে দুহাত উজাড় করে দিয়েছেন।
আগামী বছর ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ০২ এপ্রিল ভারত, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কায় বসছে বিশ্বক্রিকেট মঞ্চ। প্রথমতো উপমহাদেশে খেলা। দ্বিতীয়তো ভারতেই হবে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। সর্বোপরি সেমিফাইনাল ও ফাইনাল হবে শচীনেরই দেশে।
চেনা পরিবেশ, দর্শক মিলিয়ে ভারতের জন্য বিশ্বকাপ জয়ের সুবর্ণ সুযোগ। শচীনের জন্য অবারিতদ্বার খুলে গেছে বিশ্বকাপ জয়ের। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)’র রেডিও শোতে বিশ্বকাপ নিয়েই কথা বলেছেন জীবন্ত কিংবদন্তি এই ব্যাটসম্যান।
শচীনের ভাষায়,“আমরা একটা দল হিসেবে দারুণ সময় পার করছি। উদ্দেশ্য আগামী বিশ্বকাপে কাঙ্খিত শিরোপা জয়। আশা করি ভারত সেই মাহেন্দ্রক্ষণ উদযাপন করবে। সে জন্য টুর্নামেন্টের প্রাক প্রস্তুতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ”
গত দেড়দশক হতে চলেছে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার একাধিপত্যের কাছে পড়ে পড়ে মার খেয়েছে উপমহাদেশের দলগুলো। টানা তিনটি শিরোপা জিতে নিয়েছে অসিরা। এবার কোন দেশের উত্থান দেখা যাবে বলা মুশকিল। শচীনও ভবিষ্যবাণী করতে পারেননি। তার দৃষ্টিতে,“এটা বলা মুশকিল বিশ্বকাপে কোন দল ভালো করবে। নিজেদের দিনে যারা ভালো খেলবে তাদেরই সাফল্য আসবে। কিছু ম্যাচে জয় পেলে পুরো টুর্নামেন্টেই আত্মবিশ্বাসী থাকবে। বিশ্বকাপে অন্যমেজাজের ক্রিকেট হয়। ”
ছয় মাস পরই বিশ্বকাপের ১৪টি দল নিজেদের সেরা খেলাটা মঞ্চস্থ করতে মাঠে নামবে। এরই মধ্যে দলগুলো প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। শচীনের ভারতও পিছিয়ে নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘন্টা, আগস্ট ০৬, ২০১০
এসএ