ঢাকা: জাতীয় দলকে বিদায় বলে দিলেন আমিনুল হক। আন্তর্জাতিক শেষ ম্যাচ খেলার জন্যও অপেক্ষা করলেন না দেশের এক নম্বর গোলরক্ষক।
অভিমান থেকে আন্তর্জাতিক ম্যাচ থেকে বিদায় নিচ্ছেন না আমিনুল। একান্তই ব্যক্তিগত ইচ্ছে থেকে অবসরে যাচ্ছেন। বিকেল পাঁচটার দিকে বাফুফে ভবনে জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি বাদল রায়ের হাতে অবসরপত্র দেন তিনি।
অবসরের কারণ ব্যাখ্যা করেন আমিনুল,“জাতীয় দলে খেলার কারণে পরিবার ও দুই সন্তানকে যথেস্ট সময় দিতে পারছি না। এছাড়া ফর্ম থাকতে সঠিক সময়েই দল থেকে সরে দাঁড়াতে চাই, যাতে করে নতুনরা উঠে আসার সুযোগ পান। এ ব্যাপারে আমার শুভাকাংখীদের সঙ্গে কথা বলে ভেবে চিন্তেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ”
আমিনুলের পদত্যাগের প্রসঙ্গে বাদল রায় বলেন,“দেশে যত খেলোয়াড় আছে আমিনুল তাদের জন্য উদাহরণস্বরুপ। সবচেয়ে বেশি সময় ধরে জাতীয় দলের হয়ে সে খেলেছে। তার চিঠিটি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হবে। এ ব্যাপারে বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনা করে এবং কোচদের পরামর্শ নিতে হবে। কোচরা আমিনুলের ব্যাপারে কি মতামত দেন, সেটা জেনে ভেবেচিন্তেই পদত্যাগ পত্র গ্রহন করা বা না করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ”
বিশ্বকাপ প্রাক-বাছাইপর্বে বাংলাদেশ দলের ২৭ সদস্যের প্রাথমিক দলে ছিলেন আমিনুল। তার প্রসঙ্গে দলের ম্যানেজার ছাইদ হাসান কাননের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,“আমিনুল এখনো ফর্মে আছে। তার অবসরের সিদ্ধান্ত গ্রহনযোগ্য নয়। ”
১৯৯৪ সালে ঢাকা মোহামেডানের জুনিয়র গোলরক্ষক হিসেবে যোগ দেন আমিনুল। জাতীয় দলের ডাক পান ১৯৯৬ সালে। তবে জাতীয় দলের হয়ে অভিশেক হয়েছিলো দুই বছর পর ১৯৯৮ সালে, কাতারের বিপক্ষে প্রদর্শনী ম্যাচে। পদত্যাগ গৃহীত হলে এশিয়ান গেমসে হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচটিই হবে তার শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচে। যে ম্যাচে হংকংয়ের কাছে ৪-১ গোলে হেরে যায় আমিনুলের দল।
১৯৯৯ সালে কাঠমুন্ডু সাফ গেমসে স্বর্ণ জয় এবং ২০১০ সালে অধিনায়ক হিসেবে একাদশ এসএ গেমসের শিরোপা জয়কে সেরা সাফল্য মনে করেন আমিনুল। ২০০৫ সালে প্রথম অধিনায়ক হওয়া আমিনুল জাতীয় দলের বর্তমান তরুণ গোলরক্ষক মামুন, জিয়া ও নেহালকে যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে মনে করেন।
আমিনুলকে নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দল থেকে অবসর নেওয়া খেলোয়াড়ের সংখ্যা দাঁড়ালো তিনে। গত সপ্তাহেই অবসরের ঘোষণা দেন দুই বর্ষিয়ান ফুটবলার রজনী কান্ত বর্মন ও মতিউর মুন্না।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১১