ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

খেলা

শিরোপার সুবাস পাচ্ছে শেখ জামাল

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৮ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১১
শিরোপার সুবাস পাচ্ছে শেখ জামাল

ঢাকা: লিগ শিরোপার পথে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বড় বাধা ছিল ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষ ম্যাচটি। বৃহম্পতিবার হেসে খেলেই সেই বাধা পেরিয়েছে।

গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বৃহস্পতিবার ক্যামেরুন স্ট্রাইকার ইমানুয়েল আয়ুকের জোড়া গোলে সাদা-কালোদের ৩-১ ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ লিগের নবাগত দলটি।

দিনের অপর ম্যাচে স্বাগতিক ফেনী সকার ক্লাবের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করে করেছে চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী লিমিটেড।

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে মোহামেডানের বিপক্ষে অঘোষিত ফাইনালের উত্তেজনা নিয়ে খেলতে নামে খেখ জামাল। খেলোয়াড়দের মনোবল যোগাতে বিপুল দর্শক সমাগম ঘটায় স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে। প্রস্তুতি বৃথা যায়নি। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে শেখ জামাল। সুফলও পায়। নবম মিনিটেই ১-০ গোলে এগিয়ে যায় মোহামেডানের বিপক্ষে। বামপ্রান্ত থেকে নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার ফেমি অরুনিমির কর্নার থেকে হেডে নিশানাভেদ করেন ফরোয়ার্ড ইমানুয়েল আয়ুক।

১৪ মিনিটে ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে পারতো শেখ জামাল। মামুনুল ইসলাম মামুনের পাসে বক্সমুখ থেকে আয়ুকের জোরালো শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন মোহামেডান গোলরক্ষক তীতুমির চৌধুরি। পাল্টা আক্রামনে গোল হজম থেকে বেঁঁচে যায় ধানমন্ডির ক্লাবটি। বিপদসীমা থেকে শরীফের দুর্বল শট শেখ জামাল গোলরক্ষক আমিনুলের হাত ছুঁয়ে পোস্টে প্রবেশের আগে সাইডবারে লেগে প্রতিহত হয়।

৩৬ মিনিটে নাসিরের নৈপূণ্যে দ্বিতীয় গোল পেয়ে যায় কমলা রংয়ের জার্সিধারীরা। ডানপ্রান্ত দিয়ে মোহামেডানের রক্ষণভাগের তিন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে পাস দেন আয়ুকের উদ্দেশ্যে। আয়ুকের কাজ ছিল বলটি শুধু টোকা দিয়ে সাদা-কালোদের জালে ফেলা। নিশানা ভেদে ভুল হয়নি তার, ২-০ গোলে এগিয়ে যায় মোহামেডান।

প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে মোহামেডানের পক্ষে একটি গোল শোধ করেন ভিক্টর। ডানপ্রান্ত থেকে শরীফুলের পাসে বড় ডি বক্সের অনেক বাইরে থেকে নাদি ভিক্টোরের শট সরাসরি জালে জড়ায়। দ্বিতীয়ার্ধে চাপিয়ে খেলেও সুফল আদায় করতে ব্যর্থ হয় সাদা-কালোরা।

৭৪ মিনিটে দশজনের দলে পরিণত হয় শেখ জামাল। আমানিকে বল ছাড়াই আঘাত করায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় স্টিভ থমাস ইয়কো সামনিক। দশমিনিট পর তৃতীয় গোলের দেখা পায় কমলা শিবির। অরুনিমির পরিবর্তে মাঠে নেমেই পেনাল্টি আদায় করে নেন মিশু। ডি বক্সে ভেতরে তাকে ফেলে দেন মোহামেডানের ডিফেন্ডার আকরামুজ্জামান লিটন। পেনাল্টি থেকে ব্যবধান বাড়ান (৩-১) সুজন। ৮৮ মিনিটে মোহামেডানের পক্ষে ব্যবধান কমানোর সুযোগ নষ্ট করেন আনোয়ার। ডি বক্সের জটলা থেকে আনোয়ারের শট ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন শেখ জামালের গোলরক্ষক আমিনুল ইসলাম।
এ জয়ে ২১ ম্যাচে শেখ জামালের সংগ্রহ ৫০ পয়েন্ট। দ্বিতীয়স্থানে থাকা মুক্তিযোদ্ধার সংগ্রহ ২০ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট। অন্যদিকে ২১ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার পঞ্চম সস্থানে মোহামেডান। ২১ জুন ব্রাদার্সের বিপক্ষে ড্র করলে অথবা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ তাদের বাকি দুই ম্যাচে জয় না পেলেও শিরোপা উঠবে শেখ জামালের ঘরে। মু্িক্তযোদ্ধা তাদের পরবর্তী ম্যাচ দুটি খেলবে রহমতগঞ্জ ও চট্টগ্রাম মোহামেডানের বিপক্ষে।

এ জয়ে শিরোপা উৎসবে মেতে ওঠে শেখ জামাল। কোচ ও সহকারি কোচকে শূন্যে ভাসিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করে শেখ জামাল। কোচ পাকির আলী বলেন,“মোহামেডানের বিপক্ষে জয়টি শিরোপার পথে আমাদের অনেক বড় একটা পদক্ষেপ। শিরোপার ব্যাপারে এখন ৯৯.৫ পার্সেন্ট নিশ্চিত আমরা। ”

অন্যদিকে মোহামেডান কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক হারের কারণ হিসেবে বলেন,“বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যে একমাত্র বেইবেক বাদে বাকিরা প্রত্যাশানুযায়ী খেলতে পারেনি। তাদের পারফরমেন্স ছিল সন্দেহজনক। এছাড়া আগের ম্যাচে মু্িক্তযোদ্ধা ড্র করায় শেখ জামাল খেলোয়াড়রা শুরুতেই মোটিভেটেড ছিলো। ”

এদিকে ফেনী স্টেডিয়ামে ৫০ মিনিটে তুয়াম ফ্রাঙ্কের গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ঢাকা আবাহনী। তবে বেশিক্ষণ লিড ধরে রাখতে পারেনি। ৬৩ মিনিটে সকারের পক্ষে সমতাসূচক গোলটি করেন তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ। পয়েন্ট ভাগাভাগিতে এ মৌসুমে শিরোপা সম্ভাবনা পুরোপুরি শেষ আকাশী-নীলদের।

এ ড্র’য়ে ১৯ ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয়স্থানে আবাহনী। অন্যদিকে ২০ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে অবনমন সীমানায় রয়েছে এগারোতমস্থানে থাকা ফেনী সকার।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।