ঢাকা: ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রথম এবং প্রধান কাজ হলো বর্ষপঞ্জি তৈরি। সেটা দেখে বাজেট তৈরি এবং ক্রিকেট মৌসুম শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হয়।
হাত দেবে কি করে, বিসিবির অন্যা শাখাগুলো থেকে এখনো কার্যক্রমের সূচি পায়নি ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগ। সেগুলো হাতে পাওয়ারই না, বর্ষপঞ্জি তৈরির উদ্যোগটা নিতে পারে। বিসিবি‘র প্রধান নির্বাহী মঞ্জুর আহমেদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিলো বর্ষপঞ্জি নির্ধারিত সময়ে হচ্ছে কি না? লুকোছাপা না করে সত্যিটাই বলেছেন তিনি,“আমি কিছু বিষয় নিয়ে কাজ করছি। যে সকল বিভাগ থেকে তাদের কার্যক্রম দেওয়া হয়নি শিগগিরই তা পাওয়া যাবে। তবে একটা ঝামেলা হলো আইসিসির বার্ষিক সভা হবে ২৪ থেকে ২৯ জুন, সেখানে আমি এবং সভাপতি সাহেব যোগ দেবো। সেজন্য হয়তো একটু দেরি হবে। ”
ক্রিকেট বর্ষপঞ্জি দেরিতে হলে অনেক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিশেষ করে ঘরোয়া ক্রিকেট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। সুচিতে ঢাকা মেট্রোপলিটন ক্রিকেট কমিটির (সিসিডিএম) অংশটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অথচ তাদের কার্যক্রম সম্পর্কেই অবহিত হতে পারছে না বিসিবি।
ক্রিকেট বর্ষপঞ্জি হবে আইসিসি এবং এসিসির সূচির সঙ্গে তাল মিলিয়ে। অর্থাৎ আন্তর্জাতিক সূচি দেখে ঘরোয়া ক্রিকেট মৌসুম তৈরি করতে হবে। সেক্ষেত্রে বিলম্ব হওয়া মানেই ঘরোয়া ক্রিকেটের ক্ষতি। বিসিবি সিইও বলছিলেন,“আমাদের মাথায় বিষয়টি আছে। বর্ষপঞ্জি পেলে সেটা বোর্ড সভায় পর্যালোচনা করে বাজেট উত্থাপন করা হবে। এরপর বাজেট আলোচনা করে অনুমোদন করা হবে। আমার মনে হয় আগস্ট মাস লেগে যেতে পারে। ”
ধারণা করা হচ্ছে আগস্ট মাসে ক্রিকেট বর্ষপঞ্জি এবং বাজেট অনুমোদন হবে। বাস্তবে আরো বিলম্ব হতে পারে। সেক্ষেত্রে ঘরোয়া ক্রিকেট চরম ক্ষতির মুখে পড়বে। বিশেষ করে জুলাইয়ের শেষ থেকে আন্তর্জাতিক সূচি নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাবে জাতীয় ক্রিকেট দল। তারওপর ২০১২ সালে এশিয়া কাপ হবে ঢাকায়। সবদিক বিবেচনা করলে ক্রিকেট বর্ষপঞ্জি তৈরিতে দেরি হলে বিপদ ক্রিকেটেরই।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১১