ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

আর্জেন্টিনা ম্যাচের টিকিট বিক্রি ১৫ জুলাই শুরু

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৩ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১১
আর্জেন্টিনা ম্যাচের টিকিট বিক্রি ১৫ জুলাই শুরু

ঢাকা: আর্জেন্টিনা ও নাইজেরিয়ার মধ্যকার হাইভোল্টেজ ম্যাচের টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১৫ জুলাই থেকে। “বেক্সিমকো ফেস্ট” নামক ওই ম্যাচে সর্বনিম্ন সাড়ে সাত হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের টিকিট বিক্রি করবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।

বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে টিকেটের বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা উপস্থাপন করে বাফুফে। জানায়, স্টেডিয়ামে ২৩, ১২৭টি বিক্রি করবে তারা। সাধারণ দর্শকদের জন্য বরাদ্দ থাকবে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার টিকিট। এরমধ্যে পূর্ব গ্যালারিতে ৯ হাজার (পুরোটাই) ও পশ্চিম গ্যালারিতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার টিকিট।

বাফুফের ছক অনুযায়ী পশ্চিম গ্যালারির প্রায় ৭০ শতাংশ টিকিট (প্রায় সাড়ে আট হাজার আসন) কর্পোরেট হাউজগুলোর জন্য সংরক্ষিত থাকবে। প্রতিটি টিকেটে মূল্য রাখা হবে দশ হাজার ছয়শত টাকা। পূর্ব গ্যালারিতে প্রতিটি টিকেটের মূল্য ধরা হয়েছে সাড়ে সাত হাজার টাকা। স্পেশাল এনক্লোজারে চারশত ৮৬টি আসন রয়েছে। প্রতিটি টিকেটের মূল্য ১৫ হাজার টাকা। ভিআইপি গ্যালারির নিচের সারিতে ১৩৫৪টি আসনের প্রতিটির টিকেটের মূল্য হবে ১৫ হাজার টাকা।

ভিআইপি গ্যালারির উপরের সারিতে ৫৪০টি আসনের প্রতিটির টিকেটের মূল্য রাখা হবে বিশ হাজার টাকা। স্পেশাল হসপিটালিটি বক্সের ২৩৫টি আসনের প্রতিটির টিকেট মূল্য ত্রিশ হাজার টাকা। এছাড়া প্রেসিডেন্ট বক্সের ২২৪ আসনের প্রতিটির মূল্য হবে পঞ্চাশ হাজার টাকা করে। এদিকে কর্পোরেট হসপিটালিটিতে ১২টি বক্সের (প্রতি বক্সে ২৪টি আসন) প্রতিটির জন্য পনের লাখ টাকা গুনতে হবে দর্শকদের।

টিকিট বিক্রি থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকা আয়ের পরিকল্পনা করছে বাফুফে। ম্যাচটির আয়োজনের খরচের বাকি টাকা তারা বিভিন্ন কোম্পানির স্পন্সর, বিল বোর্ড, টিভি স্বত্ত্ব ও অন্যান্য খাত থেকে উঠিয়ে আনতে চায় সংস্থাটি।

২০ জুন থেকে কর্পোরেট হাউজগুলো টিকিট কেনার জন্য আবেদন করতে পারবে। এক আবেদন পত্রে কমপক্ষে ১০০টি টিকিটের চাহিদা থাকতে হবে। এগুলো সরাসরি বাফুফে ভবন থেকেই নিতে হবে। অন্যদিকে ১৫ জুলাই থেকে সাধারণ দর্শকের জন্য টিকিট ছাড়া হবে। প্রথমে টাকার বিপরীতে কুপন দেওয়া হবে। ম্যাচের আগের দিন ওই কুপন দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। তবে কাদের মাধ্যমে কুপনগুলো বিক্রি করা হবে সেটা এখনো ঠিক করতে পারেনি বাফুফে।

বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন জানান,“উভয় দলই তাদের ঢাকার ম্যাচটি নিশ্চিত করেছে। দলগুলো ৩ তারিখে ঢাকা আসবে। তাদের অনুশীলনের জন্য আমরা ফতুল্লা স্টেডিয়াম, শেরেবাংলা স্টেডিয়াম, আর্মি স্টেডিয়াম ও বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের কথা ভেবে রেখেছি। পরে এখান থেকে দুটি ভেন্যু চূড়ান্ত করা হবে। ”

মেসির ঢাকা আসার ব্যাপারে বাফুফে সভাপতি আবারো নিশ্চিত করে বলেছেন, বার্সেলোনার এ তারকাকে ঢাকায় আসার বাধ্যবাধকতা দিয়েই চুক্তি করেছি আমরা। মঙ্গলবার জাপান থেকে মেসির মার্কেটিং এজেন্ট ঢাকা এসেছেন। তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি মেসিকে বাংলাদেশি কোন কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হওয়ার সম্ভাবনা নিয়েও কথা বলেছেন। কোন বাংলাদেশি কোম্পানি চাইলে মেসিকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হওয়ার বিষয়ে চুক্তি করতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জুন ১৫, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।