ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

রাসেলের বিপক্ষে প্রতিশোধ মোহামেডানের

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩২ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১১
রাসেলের বিপক্ষে প্রতিশোধ মোহামেডানের

ঢাকা: শিরোপা প্রতিযোগিতা থেকে অনেক আগেই ছিটকে পড়েছে পেশাদার লিগের হ্যাটট্রিক রানার্স আপ ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং। এরপরও শেখ রাসেলের বিপক্ষে মোহামেডান সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

ম্যাচ শেষে অবশ্য খুশি মনেই বাড়ি ফিরেছে তারা। পয়েন্ট তালিকায় এগিয়ে থাকা শেখ রাসেলকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্রথম পর্বে হারের প্রতিশোধ নিয়েছে মতিঝিলের ক্লাবটি।

নিজেদের হোম ম্যাচে একই ব্যবধানে শেখ রাসেলের কাছে হেরেছিল কোচ শফিকুল ইসলাম মানিকের দল। এ জয়ে ২০ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে পঞ্চম স্থানে মোহামেডান। সমান ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ শেখ রাসেল। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। সমান খেলায় মুক্তিযোদ্ধার সংগ্রহ ৪৩। অন্যদিকে ১৮ ম্যাচে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তৃতীয় স্থানে লিগের হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী লিমিটেড।

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে শুরুতে প্রতিপক্ষের ওপর চড়াও হয় মোহামেডান। ধারাবাহিক আক্রমণে ২৫ মিনিটে এগিয়ে যায় সাদা-কালো শিবির। গোলদাতা সেই নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার সিজোবা। নাইজেরিয়ান মিডফিল্ডার ভিক্টোরের লম্বা থ্রু থেকে  সিজোবার প্লেসিং শট শেখ রাসেল গোলরক্ষক মামুনকে বোকা বানিয়ে জালে আশ্রয় নেয়। এনিয়ে ৯ ম্যাচে ১২ গোল করছেনে সিজোবা।

৪৪ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল মোহামেডানের। শরিফুলের কর্নার থেকে ক্যামেরুনের ডিফেন্ডার বেবেকের হেডে পরাস্থ হন গোলরক্ষক। কিন্তু গোল লাইন থেকে বাপ্পী বল ক্লিয়ার করায় প্রায় নিশ্চিত গোল থেকে বঞ্চিত হয় মোহামেডান।

দ্বিতীয়ার্ধে গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে ওঠে শেখ রাসেল। একের পর এক আক্রমণে কোণঠাসা করে ফেলে পয়েন্ট তালিকায় পঞ্চম স্থানে থাকা দলটিকে। ৬০ মিনিটে একটা ভালো সুযোগও পেয়ে যায় মাহমুদুল হক লিটনের শিষ্যরা। ইউসুফের কাছ থেকে বল পেয়ে বক্সে ঢুকে যান রাশিয়ান ফরোয়ার্ড অ্যাডুয়ার্ড শাখনেভিচ। তার বাড়ানো বলে মোবারকের জোরালো শট রুখে দেন মোহামেডানের গোলরক্ষক তিতুমীর চৌধুরী। ৭৬ মিনিটে আরো একটি সুযোগ নষ্ট করে শেখ রাসেল।

৮৩ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সবচেয়ে সহজ সুযোগ হাত ছাড়া করে মোহামেডান। সানডে থেকে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন আমানি। গোলরক্ষককে একা পেয়েও পোস্টে বল পাঠাতে ব্যর্থ হন এই রুয়ান্ডান মিডফিল্ডার।

খেলার অন্তিম মুহূর্তে শেখ রাসেলের মোনায়েম খান রাজু ও মোহামেডান ডিফেন্ডার তপু রহমানের মধ্যে বল দখলের লড়াই হাতাহাতিতে রুপ নেয়। উড়ন্ত বলে তপু বিপজ্জনক শট নিতে গেলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন রাজু। তপুকে লাথি মারেন। পরে রেফারি শুধু তপুকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে সতর্ক করেন।

উভয় দলই লিগে আরও দুটি করে ম্যাচ খেলবে। মোহামেডান খেলবে শেখ জামাল ও ঢাকা আবাহনীর বিপক্ষে। অন্যদিকে রাসেল মুখোমুখি হবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম আবহনীর।

ম্যাচ শেষে মোহামেডান কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক বলেন,“ভালো দল না গড়েও বড় দলের মতো খেলতে পারছি সেটাই অনেক। ম্যাচে আমানি ও আনোয়ার সুযোগ নষ্ট না করলে আরো বড় জয় পেতাম। পরবর্তী ম্যাচে শেখ জামালকে হারাতে চাই আমরা। ”

অন্যদিকে দ্বিতীয় পর্বে দলের খেলায় হতাশ শেখ রাসেল কোচ মাহমুদুল হক লিটন। বলেন,“দল ভালো খেলেছে সেটাই সান্ত¡না। সিনিয়র খেলোয়াড় না থাকায় সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারছি না। আগেই শিরোপা লড়াই থেকে ছিটকে পড়েছি। যদিও গত ম্যাচে জোর করেই হারানো হয়েছে আমাদের। এখন চতুর্থ স্থানটি ধরে রাখতে চাই। ”

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad