ঢাকা: ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের উৎসব। হইহুল্লোর, করতালি, ইতিউতি ছোটাছুটি ছিলো সকল থেকে বিকেল পর্যন্ত।
ক্ষুদে ক্রিকেটারদের মিলন মেলা বসেছিল। জাতীয় দলের সাবেক বাঁহাতি স্পিনার মো. রফিক স্কুলের ক্রিকেটারদের প্রেরণা দিতে স্টেডিয়ামে এসেছিলেন। জাতীয় দলের সাবেক তিন অধিনায়ক আকরাম খান, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু এবং হাবিবুল বাশারও ছেলেদের মাঝে পরিচিত হলেন। আরেক সাবেক অধিনায়ক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) পরিচালক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু তো সকাল থেকেই খেলার ব্যবস্থপনা দেখভাল করছিলেন। স্কুল ক্রিকেট নিয়ে এত উৎসব আগে খুব কমই দেখা গেছে।
গাজী আশরাফ হোসেন তো বলে দিলেন পটুয়াখালীর ডনোভান স্কুলের উত্থান বিসিবিকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করছে। উপ-শহরের বেসরকারী একটি স্কুল, যাদের আর্থিক দৈন্যতা লেগে আছে। বৃত্তবানদের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে খেলতে বেরিয়েছে স্কুলটি। জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে বিসিবি কোচ শ্যামল সরকার দিয়েছেন কোচিং। প্রতিভা অন্বেষণ শেষে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে অংশ নিতে শুরু করে দলটি। সাফল্যের সোপান বেয়ে দরিদ্র স্কুলের ছেলেগুলো জাতীয় স্কুল ক্রিকেটের ফাইনাল পর্যন্ত উন্নীত হয়। শিরোপার খুব কাছ থেকে ছিটকে পড়ে। তবু তো রানার্সআপ ট্রফিটা নিয়ে পটুয়াখালী ফেরা হচ্ছে। শ্যামল সরকার বলছিলেন,“অনেক প্রতিভা আছে। জেলা থেকে খেলার জন্য স্কুলটিকে সবধরণের সহযোগিতা করেছে। সুযোগ পেলে এই ছেলেগুলো উন্নতি করবে। ”
বিসিবি পরিচালক তাই তো বলছিলেন,“পটুয়াখালীকে ফেলে দেওয়ার সময় শেষ। ডনোভান স্কুলটি আমাদের দেখিয়ে দিলো খেলার সুন্দর পরিবেশ পেলে অনেক ভালো ক্রিকেটার বেরিয়ে আসবে। ”
অন্যদিকে আধুনিক সুযোগসুবিধার মধ্যদিয়ে বেড়ে উঠা চট্টগ্রাম পুলিশ ইনস্টিটিউট স্কুলের ছাত্ররা নিয়মিতই ক্রিকেট চর্চা করে। স্কুলের ক্রীড়াশিক্ষক প্রণব দেবদাস জানালেন,“আমাদের স্কুলে নিয়মিত ক্রিকেট প্রশিক্ষণ হয়। ৮৬ জন ছেলেকে বাছাই করে প্রশিক্ষণ চলে। সেখান থেকে জাতীয় স্কুলের জন্য একটি দল গড়া হয়েছে। সেই দলটি ফাইনালে খেলে শিরোপা জিতেছে। ”
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০১১