ঢাকা: শিরোপার পথে অনেকটাই এগিয়ে লিগে নবাগত শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব লিমিটেড। সোমবার শেখ রাসেলের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ে শেখ জামাল শিবিরে উৎসবের রং।
প্রায় পুরো জাতীয় দলকে নিয়েই দল সাজায় লিগে নবাগত ধানমন্ডির ক্লাবটি। কিন্তু লিগের প্রথম পর্বে প্রত্যাশিত সাফল্য পেতে ব্যর্থ হয় তারা। বিদেশী কোচ ও খেলোয়াড়ের পরিবর্তন এনেও শীর্ষস্থানে যেতে ব্যর্থ হচ্ছিলো আলোচিত দলটি। তবে লিগের দ্বিতীয় পর্বে পালে হাওয়া লাগে শেখ জামাল শিবিরে। দ্বিতীয় পর্বের শুরুতেই লিগের হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনীকে ৩-১ গোলে হারায় শিরোপা প্রত্যাশী দলটি। ফেভারিটদের হারানোয় খুশিতে খেলোয়াড়দের তখন পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কৃত করেছিলেন উল্লসিত ক্লাব সভাপতি মনজুর কাদের।
বলতে গেলে এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি অধিনায়ক আমিনুল ইসলামের দলকে। আরামবাগ, ফরাশগঞ্জ, চট্টগ্রাম আবাহনী ও চট্টগ্রাম মোহামেডানকে হারায় তারা। অন্যদিকে পয়েন্ট মুক্তিযোদ্ধার থেকে এক পয়েন্ট কেড়ে নিয়ে সুবিধাজনকস্থানে উঠে আসে শেখ জামাল। একমাত্র ফেনী সকারের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রই ছিল দ্বিতীয় পর্বে তাদের একমাত্র ব্যর্থতা। তবে সোমবার শেখ রাসেলের বিপক্ষে জয়ে শিরোপার সবচেয়ে কাছে রয়েছে মনজুর কাদেরই দল। পরের তিন ম্যাচে তারা লড়বে রহমতগঞ্জ, ঢাকা মোহামেডান ও ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে। তিনটি দলই শক্তির বিচারে শেখ জামালের চেয়ে দুর্বল। তাই শেখ রাসেলের বিপক্ষে কঠিন লড়াইয়ে জয় পাবার পরই খেলোয়াড়দের পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেন ক্লাব সভাপতি।
প্রথমবারের মতো লিগে এসেই শিরোপার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে ধানমন্ডির ক্লাব। সভাপতি বলেন,“ শিরোপার অনেকটা কাছে চলে এসেছি আমরা। পরবর্তী ম্যাচগুলো জিতে চূড়ান্ত উৎসব করতে চাই আমরা। এই পুরস্কার খেলোয়াড়দের আরো উৎসাহিত করবে। ”
১৯ ম্যাচে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুক্তিযোদ্ধার চেয়ে চার পয়েন্ট এগিয়ে শেখ জামাল। যদিও মুক্তিযোদ্ধা তাদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০১১