ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

টেনিসকমপ্লেক্সে বাণিজ্যিক ভবন তৈরির চেষ্টা চলছে

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০১০
টেনিসকমপ্লেক্সে বাণিজ্যিক ভবন তৈরির চেষ্টা চলছে

ঢাকা: পশ্চিমে ঢাকা ক্লাব, উত্তর-পূর্বে রমনা পার্ক। দক্ষিণে নিজেদের সাজানো বাগান।

সব মিলিয়ে সবুজের বেষ্টনি আগলে রেখেছে রমনা জাতীয় টেনিসকমপ্লেক্স। খেলোয়াড়দের কাছে দারুণ প্রিয় সেই টেনিস কোর্টের সামনে উঁচু ইমারত গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে।

জাতীয় টেনিস ফেডারেশনের কর্মকর্তারা উঠেপড়ে লেগেছেন টেনিস কমপ্লেক্সের সামনে বাণিজ্যিক ভবন গড়ে তুলবেন বলে। উদ্দেশ্য খারাপ নয়। বাণিজ্যিক ভবনকে ফেডারেশনের অর্থের উৎস হিসেবে গড়ে তোলা।

সত্যি সত্যি উঁচু দালান হলে রমনার সুদৃশ্য টেনিস গ্রাউন্ডের আন্তর্জাতিক মান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা করা হচ্ছে। আগের মতো স্বস্তি নিয়ে মাঠে যাওয়ার সুযোগ থাকবে না বলে মনে করেন টেনিস খেলোয়াড়রা। বাণিজ্যিক কার্যক্রমের ব্যস্ততায় খেলার পরিবেশ নষ্ট হওয়ার ভয়েও আছেন অনেকে।

অথচ খেলার পরিবেশের কথা না ভেবে বাণিজ্যিক ভবন গড়ে দেওয়ার জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে (এনএসসি) চিঠি দিয়েছে টেনিস ফেডারেশন। সাধারণ সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ সোমবার বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানিয়েছেন গত মঙ্গলবার এনএসসি বরাবর পাঠানো চিঠিতে বাণিজ্যিক ভবন গড়ে দেওয়ার অনুরোধ আছে।

ফেডারেশন থেকে এমন চিঠি পেয়ে আহলাদে গদগদ এনএসসি কর্মকর্তারা। পরিকল্পনা ও উন্নয়ন পরিচালক আব্দুর রহমানের উচ্ছ্বাস দেখে মনে হয়েছে এমন প্রস্তাবের অপেক্ষায় ছিলেন তারা। তার মতে ঢাকার সবচেয়ে মূল্যবান জায়গায় অবহেলায় পড়ে আছে। বলছিলেন,“এত দামী জায়গা ফেলে রাখার কোন মানে হয় না। বাণিজ্যিক ভবন গড়ে তোলা হলে ফেডারেশন যেমন লাভবান হবে তেমনি এনএসসিও। দুটি প্রতিষ্ঠানই বার্ষিক রেভিনিউ পাবে। ”

এতে টেনিস কমপ্লেক্সটি মান হারাবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুর রহমান বলেন,“কিভাবে বাণিজ্যিক ভবন গড়ে তোলা হবে সেটা এখনো ঠিক হয়নি। পর্যালোচনার পর উভয়কূল রক্ষা করে সিদ্ধন্ত নেওয়া হবে। ”  

ইসতিয়াক আহমেদ আরো জানান, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকারের সঙ্গে দেখা করে বাণিজ্যিক ভবন গড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি সাংসদ শাহরিয়ার আলম। মন্ত্রীও আগ্রহ দেখিয়েছেন।

ফেডারেশন সম্পাদক এও জানান টেনিস কমপ্লেক্স যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে খেয়াল রেখে সবকিছু করবে তারা। ভবনে আন্তর্জাতিক মানের হোস্টেল, সেমিনার কক্ষ, অডিটরিয়ামসমেত অনেক সুযোগ সুবিধা থাকবে বলে জানান তিনি।

এমনিতেই এটিপি বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট আয়োজনের অধিকার হারিয়েছে বাংলাদেশ। ভবিষ্যতে কোন আন্তর্জাতিক টেনিস টুর্নামেন্ট হওয়ার সম্ভাবনাও ক্ষীণ। এরপরেও আন্তর্জাতিক মানের হোস্টেল গড়ে তোলার চিন্তাভাবনা হচ্ছে।

২০০৫ সালেই জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সে বাণিজ্যিক ভবন গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছানাউল হক। অবশ্য সেবার এনএসসিকে পাশ কাটিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া ভাবনটি তৈরি করা সম্ভব হয়নি। এনএসসিই বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। সঙ্গে জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্স দেখভালের জন্য একজন প্রশাসকও নিয়োগ দেন তখনকার এনএসসি সচিব শিবলি নজির। এবার কোন বাঁধা নেই।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘন্টা, আগস্ট ০২, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।