ঢাকা: আগের ম্যাচে ফেনী সকারকে হারালেই পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে উঠে আসতে পারতো শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। কিন্তু দুর্বল প্রতিপক্ষের সঙ্গে ড্র করায় সুযোগ হাতছাড়া হয়।
শেখ জামালের এ জয়ে শিরোপা লড়াই আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠলো। ১৮ ম্যাচে ৪১ পয়েন্ট সংগ্রহ করেছে তারা। এক ম্যাচ কম খেলে ৩৯ পয়েন্ট নিয়ে তাদের পরেই মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। ১৮ ম্যাচে ৩৮ পয়েন্ট লিগ তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে শেখ রাসেল। আর ১৬ ম্যাচে ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে তাদের পরেই রয়েছে লিগের হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে অবনমন ঝুঁকিতে থাকা চট্টগ্রাম মোহামেডানের বিপক্ষে প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে এগিয়ে থাকে ফেভারিটরা। ৮ মিনিটে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ফেমির কর্নার থেকে সুজনের হেডে এগিয়ে যায় শেখ জামাল। ১৫ মিনিটে এনামুলের শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসলে গোলবঞ্চিত হয় কোচ পাকির আলীর দল। তবে ৪৩ মিনিটে ভুল করেননি ক্যামেরুন ফরোয়ার্ড আয়ুক। বামপ্রান্ত দিয়ে প্রতিপক্ষের বিপদ সীমানায় ওয়ালির ক্রসে ফেমির চিপ থেকে আয়ুকের শটে ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় শেখ জামাল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় ফেভারিটরা। ওয়ালি ফয়সালের ক্রসে এমিলি বল পেয়ে বাড়িয়ে দেন আয়ুকের দিকে। সুযোগ সন্ধানী আয়ুকের শট আশ্রয় নেয় চট্টগ্রাম মোহামেডানের জালে। ৩-০ গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
৫৩ মিনিটে গোল পরিশোধের সুযোগ আসে ঢাকার বাইরের দলটির। লাইবেরিয়ান ফরোয়ার্ড জেরি ওডেস্কোর ক্রসে বক্স থেকে হেড নেন চট্টগ্রাম মোহামেডানের অধিনায়ক ফরহাদ। তার হেড ক্রসবারে লেগে ফিরে আসলে ব্যবধান কমানোর সুযোগ বঞ্চিত হয় দলটি। ৭০ মিনিটে চট্টগ্রাম মোহামেডানের পরাজয়ের কফিনে শেষ পেরেক ঠোকেন এমিলি (৪-০)। এ নিয়ে লিগে আট ম্যাচে ছয় গোল করেছেন জাতীয় দলের এই স্ট্রাইকার। বাকি সময়ে কোন দলই ব্যবধানের হেরফের ঘটাতে পারেনি।
জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী থাকা শেখ জামাল কোচ পাকির আলী বলেন,“আমাদের ও প্রতিপক্ষের মধ্যে অনেক ব্যবধান থাকায় জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলাম। তাই এ ম্যাচেই আগামী ম্যাচের প্রস্ততিও সেরে নিয়েছি। এ জয়ে অন্যরকম উচ্চতায় উঠলো শেখ জামাল। তবে শীর্ষে উঠলেও চ্যাম্পিয়ন হতে অনেক দূর পাড়ি দিতে হবে। প্রথমবারের মতো শীর্ষে ওঠায় খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস বাড়বে। যেটা পরবর্তী ম্যাচগুলোতে কাজে দেবে। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৪ ঘণ্টা, মে ৩০, ২০১১