ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

খেলা

টানা দ্বিতীয় শিরোপা চেন্নাইয়ের

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৫ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১১
টানা দ্বিতীয় শিরোপা চেন্নাইয়ের

চেন্নাই: অধিনায়ক হিসেবে মহেন্দ্র সিং ধোনির শিরোপা ভাগ্য ভালোই বলা যায়। তার নেতৃত্বে ২৮ বছর পর দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

ধোনির অধিনায়কত্বে শনিবার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ফাইনালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে ৫৮ রানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় শিরোপা জিতেছে চেন্নাই সুপার কিংস।

চেন্নাই সুপার কিংস: ২০৫/৫ (২০ ওভার)
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু: ১৪৭/৮ (২০ওভার)
ফল: চেন্নাই ৫৮ রানে জয়ী

এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন চেন্নাই অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। ঠিক সিদ্ধান্তই নেন ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী নেতা। ব্যাট করতে নেমে দলকে দারুণ উড়ন্ত সূচনা উপহার দেন দুই ওপেনার মুরালি বিজয় ও মাইকেল হাসি।

উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গতে বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক ড্যানিয়েল ভেট্টোরি ব্যবহার করেন ছয়জন বোলার। স্পিন আর পেস বোলিংয়ের মিশেল আক্রমণও মন্থর করতে পারেনি চেন্নাইয়ের রানের চাকা। জহির খানদের মূলত তুলোধুনো করেছেন এই দুই ব্যাটসম্যান।

১৪.৫ ওভারে হাসি-মুরালি জুটিতে আঘাত হানেন জামালউদ্দিন সাইদ মোহাম্মদ। মোহাম্মদের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে লংঅনে ক্রিস গেইলের হাতে ধরা পড়েন মাইকেল হাসি। সাজঘরে ফেরার আগে ৩টি চার ও সমান সংখ্যক ছক্কার সাহায্যে ৬৩ রান করেন এই অস্ট্রেলিয়ান। এই জুটিতে আসে ১৫৯ রান।

হাসি বিদায় নিলেও রানের চাকা সচল রাখেন মুরালি বিজয়। পাঁচ রানের জন্য শতক বঞ্চিত হয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ৫২ বলে ৯৫ রান করেন তিনি। এর মধ্যে চারটি চার ও ছয়টি ছক্কার মার ছিল। অরবিন্দের বলে ক্যাচ আউট হন মুরালি। দলের রান তখন ১৮৮।

দুই ওপেনারের বিদায়ের পর মাত্র ১৭ রান তুলতেই তিন উইকেট হারিয়েছে চেন্নাই। ১৮ ওভারের প্রথম বলে মুরালি, দ্বিতীয় বলেই অরবিন্দের শিকার হন চেন্নাই অধিনায়ক ধোনি (২২)। এরপর সুরেশ রায়না (৮) ও অ্যালবি মর্কেলকে (২) সাজঘরে ফেরান ক্রিস গেইল। শেষপর্যন্ত পাঁচ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ওভারে ২০৫ রান করে স্বাগতিকরা।

ভাগ্যদেবী চেন্নাই অধিনায়কের প্রতি যতোটা প্রসন্ন, ঠিক ততোটা বিরূপ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর প্রতি! নইলে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ক্রিস গেইল এদিন কেন আউট হবেন শূন্য রানে! সে যাই হোক, এসবই কল্পনা বা অনুমান নির্ভর কথা।

তবে এটা সত্য, শিরোপা ভাগ্য খুবই খারাপ বেঙ্গালুরুর। ২০০৯ সালে ভারতের বাইরে অনুষ্ঠিত আইপিএলের ফাইনালে উঠেছিলো অনীল কুম্বলেরা। সেবার দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ডেকান চার্জার্সের কাছে হেরে যায় বেঙ্গালুরু। এবারও ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটালেন তার উত্তরসূরিরা।

জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে ধাক্কা খায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। দলের ১৬ রানের মধ্যে বিদায় নেন দুই ওপেনার। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানের মালিক ক্রিস গেইলকে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরান স্পিনার রবিচন্দ্র অশ্বিন। ব্যক্তিগত ১০ রানে অশ্বিনের দ্বিতীয় শিকার হন মায়াঙ্কা আগারওয়াল।

দুই ওপেনারের বিদায়ের পরই শুরু হয় ব্যাটসম্যানদের যাওয়া-আসার মিছিল। দলের পক্ষে সবচেয়ে বেশি ৪২ (অপ:) রান করেন সৌরভ তিওয়ারি। তবে ভিরাট কোহলি ৩৫, জহির খান ২১, এবি ডি ভিলিয়ার্স ১৮, ও অভিমুন্য মিথুন ১১ রান করলে আট উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান তুলতে সমর্থ হয় বেঙ্গালুরু। রবিচন্দ্র অশ্বিন তিনটি ও শাদাব জাকাতি দুটি উইকেট নিয়ে ধস নামান বেঙ্গালুরুর ইনিংসে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।