ঢাকা: বাবাকে হারিয়ে নির্বাক নয় বছরের সন্তান আরিয়ান। তিন বছরের অপর সন্তান আরহান কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না।
গত ফেব্রুয়ারিতে মরণব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর অনেকেই সাহায্য ও সহানুভূতির জন্য পামেলের পাশে দাঁড়ালেও বলতে গেলে কিছুই করেনি বাফুফে। চিকিৎসার জন্য দেশ-বিদেশের হাসপাতালে ছুটাছুটি করে প্রায় রিক্ত হয়ে পড়ে পামেলের পরিবার। তার সাহায্যের জন্য ক্রিকেট বোর্ড ও এর কর্মকর্তারাসহ ক্রীড়াঙ্গনের অনেকেই এগিয়ে এলেও ব্যতিক্রম শুধু বাফুফে ও এর কর্মকর্তারা। প্রিয় সহকর্মীর জন্য একটি টাকাও খরচ করেননি তারা। অথচ দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রীড়া সংগঠন। যেখানে একটি কাঙ্খিত পদ-পদবীর জন্য লালায়িত থাকেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আল মোসাব্বির সাদী। কিন্তু আক্ষেপ নিয়েই বিদায় নিতে হচ্ছে সদা হাস্যময় ও বিনয়ী লোকটিকে। মৃত্যুর সময়ে পাশে পেলেন না তার প্রিয় সহকর্মীদের অনেককেই। এক সহ-সভাপতি শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর ছাড়া কাউকেই লাশের পাশে উপস্থিত দেখা যায়নি। যদিও সাংবাদিকতা ছাড়ার পর বাফুফেই ছিল পামেলের ধ্যানজ্ঞান। অনেক সময়ই পরিবারকে উপেক্ষা করে প্রিয় সহকর্মীদের সঙ্গে বাফুফেতেই সময় দিয়েছেন। কাজে বা আড্ডায় মেতেছেন সহকর্মীদের নিয়ে। কিন্তু এ কেমন প্রতিদান পেলেন তিনি?
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন এএফসির কাজে দেশের বাইরে থাকায় তিনি থাকতে পারেননি। কিন্তু বাকি চার সহ-সভাপতি ও পনের জনের কার্যকরী কমিটির কোন কর্মকর্তার টিকিটিরও দেখা মেলেনি। যদিও কর্মকর্তাদের পামেলের মৃত্যু সংবাদ বিষয়টি সময়মতো জানানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে বাফুফের একটি সূত্র।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১১