ঢাকা: ঢাকা মেট্রোপলিটন ক্রিকেট কমিটি (সিসিডিএম)’র অফিসে ক্লাব কর্মকর্তাদের আনাগোনা বন্ধ হয়ে গেছে। আসলে কৌশলে ক্লাব কর্মকর্তাদের প্রবেশাধিকার রোধ করে দিয়েছেন সিসিডিএম এর সদস্য সচিব ইকবাল ইউসুফ চৌধুরী।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের দোতলায় সিসিডিএমর কার্যালয়ে ক্লাব কর্মকর্তাদের মিলন মেলা ছিলো। নিষ্প্রাণ সিসিডিএম অফিসকে জমিয়ে রাখতেন প্রিমিয়ার, প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বিভাগের ক্লাব কর্মকর্তারা। গত ১১ মে থেকে সেখানে ওই কর্মকর্তাদের যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে। গেলেও বসার মতো কোন আসন নেই। অথচ কয়েকদিন আগেও সিসিডিএম কার্যালয়ে বসে সুখ দুঃখের কথা বলেছেন, খেলা নিয়ে আলোচনার সুযোগ পেয়েছেন।
দ্বিতীয় বিভাগের দল নবীন সংঘের কর্মকর্তা কাজী তবারুকুল ইসলাম যেমন বললেন,“তৃতীয় বিভাগের দল ইলেভেন ওয়ারিয়র্স যেদিন মামলা করে আদালত থেকে খেলার অনুমতি নিয়ে আসে। তারপরের দিন থেকেই সিসিডিএম সদস্য সচিব নিকু ভাই আমাদের বসার জায়গা তুলে ফেলে। কক্ষগুলোতে তালা ঝুলিয়ে দেয়। কর্মচারিদের জানিয়ে দেয় ক্লাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে কম মেশার জন্য। প্রতিহিংসা থেকে তিনি এটা করেছেন। ”
আরেক কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান তপু বাংলানিউজকে বলেন,“আজ ১৮ বছর ধরে সিসিডিএম কার্যালয়ে আমার যাতায়াত। কেউ কোন দিন নিষেধ করেনি। বাঁধা দেয়নি। বরং একসঙ্গে বসে কাজ করেছি। খাবার খেয়েছি। জমজমাট পরিবেশ ছিলো। এই প্রথম স্টেডিয়ামে গিয়ে আমরা কোথাও বসতে পারি না। নিজেকে ক্রিকেটের মানুষ ভাবতে কষ্ট হচ্ছে। ”
এদিকে সিসিডিএম সচিব ইকবাল ইউসুফ চৌধুরীর দাবি করছেন কোথাও তালা দেওয়া হয়নি। সিসিডিএম কার্যালয়ে যেতেও কারো বারণ নেই। ক্লাব ছাড়া তো সিসিডিএম চলবে না। ক্লাব কর্মকর্তারা সেখানে যাবেন, আড্ডা দেবেন ভালো কথা, সেখানে কেউ ব্যক্তিগত অফিস বানিয়ে ফেলতে পারে না। অনেকে আছেন সিসিডিএম কার্যালয়ে ব্যক্তিগত ফাইল রাখেন। বেলা ১১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তাদের বিরামহীন আড্ডা চলে। তাদেরকে বুঝতে হবে ওটা একটা অফিস। কিছু নিয়ম আছে। ”
ব্যক্তিগত কাজে সিসিডিএম কার্যালয় ব্যবহার করে এমন কারো নাম প্রকাশ করেননি ইকবাল ইউসুফ চৌধুরী। উল্টো অভিযোগ করেছেন ক্লাব কর্মকর্তারা কাজের পরিবেশ নষ্ট করছেন। ইচ্ছে করে তিলকে তাল বানাচ্ছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১১ ঘণ্টা, মে ১৯, ২০১১