ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে হ্যাট্রিক চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫২ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১১
প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে হ্যাট্রিক চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী

ঢাকা: প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট থেকে খালেদ মাসুদের বিদায়টাকে প্রাণবন্ত করে তোলার পেছনে নাঈম ইসলামের অবদান অনেক। ফাইনালের প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি, দ্বিতীয় ইনিংসে পঁঞ্চম দিনের খেলা শেষ করে ফেরা।

অমীমাংসিতভাবে ফাইনালের নিষ্পত্তি। পয়েন্টে এগিয়ে থেকে টানা তৃতীয়বার জাতীয় লিগের শিরোপা জয়ের স্বাদ পায় রাজশাহী। অর্থাৎ খালেদ মাসুদের দল হ্যাট্রিক চ্যাম্পিয়ন। নাঈম তো অধিনায়কের কাছ থেকে ধন্যবাদ পেতেই পারেন। নিশ্চয়ই পেয়েছেন।

বড় দৈর্ঘ্যরে ক্রিকেটে রাজশাহী আধিপত্য দেখাচ্ছে অনেক দিন। মূলত জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সংখ্যাধিক্য এবং সমন্বয় ছাড়াও খালেদ মাসুদের নেতৃত্বগুণ রাজশাহীর উত্তরণে বড় ভূমিকা রেখেছে।

তারকাশূন্য দল নিয়ে প্রতিযোগিতার দ্বাদশ আসরের ফাইনাল পর্যন্ত এসেছে রাজশাহী। ফাইনালে জাতীয় দলের তারকাদের উপস্থিতিতে জমে উঠে খেলা। ঢাকা বিভাগের সঙ্গে সমানে পাল্লা দিয়ে শেষপর্যন্ত পয়েন্ট ভাগাভাগি।

দি¦তীয় ইনিংসে জয়ের জন্য ২৯৭ রানের লক্ষ্য পেয়েছিলো চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী। ২৪০ রান পর্যন্ত যেতে না যেতেই দিনের খেলা শেষ। তখনো দরকার ছিলো ৫৭ রান। হাতে চারটি উইকেট থাকায় বেঁচে যায়। এই ইনিংসে জুনায়েদ সিদ্দিকের ব্যাট থেকে এসেছে সর্বোচ্চ রান ৮৬। এছাড়া ফরহাদ হোসেন ৩২, জহুরুল ইসলাম ২৭ ও নাঈম ইসলাম হার না মানা ৫২ রান করেন।

রানার্সআপ ঢাকার পক্ষে দ্রুতগতির বোলার সাহাদাত হোসেন খান ও স্পিনার মাহমুদউল্লাহ খান দুটি করে উইকেট নেন।

প্রথম ইনিংসে ২৮০ রান এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩০ রান করে। রাজশাহীর প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছে ৩১৪ রানে। ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন ঢাকা বিভাগের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান আনামুল হক বিজায়।

চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী দলকে ১২ লাখ, রানার্সআপ ঢাকাকে ছয় লাখ এবং তৃতীয় স্থান পাওয়া সিলেট বিভাগকে তিন লাখ টাকা অর্থ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ রান করায় ৫০ হাজার টাকা পুরস্কার পেয়েছেন বরিশালের নাসিরউদ্দিন ফারুক। আট ম্যাচে ১৪ ইনিংস খেলে ৬৩২ রান করেন তিনি। যার মধ্যে ১১২ রানের একটি ইনিংসও খেলেছেন।

আইসিএল ফেরত ধীমান ঘোষ আক্ষেপ করলেন সবচেয়ে বেশি রান করতে না পারায়। তবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের মালিক এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান সেরা উইকেটরক্ষকের পুরস্কার পেয়েছেন ৩০ হাজার টাকাও একটি ব্যক্তিগত ট্রফি।

শোহাগ গাজী ব্যক্তিগত ট্রফি হাতে নিয়ে দুচোখ ভরে দেখছিলেন। ওই ট্রফি পেতে কত কষ্টই না করতে হয়েছে তাকে। বলছিলেন,“বল করতে করতে আমার হাতের আঙ্গুলে ঠুষ্কা (আসলে হবে ফোসকা) পরে পড়ে গেছিলো। ” হাওয়ারই তো কথা। লিগে ২৭৩ ওভার বল করে ৯৫৪ রান খরচায় ৪১ উইকেট শিকার করেন বরিশালের এই বাঁহাতি স্পিনার। ৮৯ রানে ইনিংসে ছয় উইকেটও নিয়েছেন তিনি।

টুর্নামেন্ট সেরা হয়েছেন যে ছেলেটি তিনি একজন অল-রাউন্ডার। ঢাকা বিভাগের অলরাউন্ডার ইলিয়াস সানি ছয় ম্যাচে ১০ ইনিংস খেলে ৪৩৭ রান করেছেন। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ১৫৩ রানের। ২২১ ওভার বল করে ৫৫৩ রান দিয়ে ২২ উইকেট নিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, মে ১৪, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।