ঢাকা: জাতীয় দল নির্বাচক কমিটির তিন সদস্যের নিয়োগ পত্র হয়ে গেছে। জুন মাস থেকে দুই বছরের জন্য তাদেরকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে মনোনীত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো আকরাম খান, মিনহাজুল আবেদিন নান্নু এবং হাবিবুল বাশার আলোচনার টেবিলে বসেছিলেন। বিসিবির প্রধান নির্বাহী মঞ্জুর আহমেদের সঙ্গে দেখাও করেছেন।
শনিবার মঞ্জুর আহমেদের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বিস্তারিত আলোচনা হবে বলে বাংলানিউজকে জানান প্রধান নির্বাচক আকরাম খান। আনুষ্ঠানিক কাজ শুরুর আগে টেকনিক্যাল ও মূল্যায়ন কমিটির সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে। বিসিবি সভাপতি আ হ ম মোস্তফা কামালের সঙ্গেও কথা হবে নির্বাচকদের। বিসিবির কাছে খুব বেশি কিছু চাওয়ার নেই বলে জানান আকরাম খান,“আমাদের চাওয়া একটাই, কাজটা যেন ভালোভাবে করতে পারি। এজন্য বোর্ডের কাছে সর্বাত্মক সহযোগিতা চাইবো। ”
বিসিবি সিইও বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, আজ (বৃহস্পতিবার) তাদেরকে ডেকেছিলাম নিয়োগের বিষয়ে জানাতে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ তেমন কিছু আলোচনা হয়নি। আগামী সপ্তাহে আফিসিয়াল বিষয়গুলো নিয়ে তাদের সঙ্গে আমার আলোচনা হবে। তবে বোর্ড পরিচালকদের সঙ্গে ওরকম আনুষ্ঠানিক কোন আলোচনা নেই। এমনিতে কথাবার্তা তো হবেই। ”
চুক্তি না হলেও কোন কাজ থাকলে হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন না নির্বাচকরা। এরই মধ্যে খেলা দেখতে শুরু করে দিয়েছেন তিনজনেই। বৃহস্পতিবার জিপি-বিসিবি একাডেমি দলের খেলাও দেখেছেন মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে। সামনের দিনগুলিতে নির্বাচকদের কাজের ব্যস্ততাও বেড়ে যাবে। জুনে কন্ডিশনাল ক্যাম্পের জন্য ৩০ জনের প্রথমিক দল বাছাই করতে হবে নতুন কমিটিকে। এরপর জুলাই মাসে জিম্বাবুয়ে সফরের জন্য টেস্ট এবং একদিনের দল দিতে হবে।
২৭ এপ্রিল নির্বাচকদের নাম ঘোষণার দিনই মালয়েশিয়ায় কোচেস কোর্স করতে গিয়েছিলেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার। আকরাম খানও ঢাকায় ছিলেন না। সেজন্য তিন সদস্যের নবনির্বাচিত কমিটির মধ্যে বৈঠক করা সম্ভব হয়নি। বাশার বৃহস্পতিবার ভোরে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন। বলছিলেন,“আশা করি এখন থেকে নিয়মিতই আমাদের মধ্যে দেখাসাক্ষৎ হবে। আকরাম ভাইয়ের একটা পরিকল্পনা তো অবশ্যই আছে। আমরা তিনজনে বসে সেগুলো ঠিক করে নিবো। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৩ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১১