ঢাকা, রবিবার, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ১২ মে ২০২৪, ০৩ জিলকদ ১৪৪৫

খেলা

রাজশাহী স্মৃতি স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট সংস্কারের উদ্যোগ নেই

শরীফ সুমন, স্টাফ করেসপডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৫
রাজশাহী স্মৃতি স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট সংস্কারের উদ্যোগ নেই ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহী: জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামের ভাঙা ফ্লাডলাইটগুলো স্তূপ হয়েই পড়ে আছে। কালবৈশাখী ঝড়ের পাঁচদিন পার হয়ে গেলেও মূল্যবান ফ্লাডলাইট ও সরঞ্জামাদি সংস্কার বা সংরক্ষেণের কোনো উদ্যোগ নেই।



সোমবার (২৭ এপ্রিল) সরেজমিনে গিয়ে এমন পরিস্থিতিই লক্ষ্য করা যায়।

গত বুধবার (২২ এপ্রিল) রাতে রাজশাহীর উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখীর ছোবলে ভেঙে পড়ে স্টেডিয়ামের পশ্চিম প্রান্তের ফ্লাডলাইটের টাওয়ার।

এতে স্টেডিয়াম মার্কেটের ভাঙাড়ি পট্টির পাশেই স্তূপ হয়ে পড়ে ফ্লাডলাইট ও সরঞ্জামাদি। যা চুরি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে রাজশাহী জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে-সেখান থেকে কোনো কিছু চুরি করা অসম্ভব।

রাজশাহী জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়াম মার্কেটের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সেন্টু ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, গত ২২ এপ্রিল রাতে কালবৈশাখী আঘাত হানে রাজশাহীতে। ওই সময় শহরের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় ঝড়ের তাণ্ডবে বিকট শব্দে পশ্চিম প্রান্তের ফ্লাডলাইটের টাওয়ারটি ভেঙে পড়ে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, স্থাপিত ফ্লাডলাইটের চারটি টাওয়ারের মধ্যে পশ্চিম দিকের টাওয়ারটি বুধবার (২২ এপ্রিল) রাতের কালবৈশাখী ঝড়ে ভেঙে পড়ে। এতে ওই টাওয়ারে স্থাপিত ৩৮টি বাল্বের অধিকাংশই ভেঙে যায়। এসব বাল্বের এক একটির বর্তমানে বাজার মূল্য প্রায় ৪২ হাজার টাকা।

রাজশাহী জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক রফিউস সামস প্যাডি বাংলানিউজকে জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইটের একটি টাওয়ার ভেঙে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। একটি টাওয়ার নির্মাণের ব্যয় আনুমানিক ৬০ থেকে ৭০ লাখ টাকা। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) অর্থায়নে এই স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট স্থাপন করা হয়। এর দেখভালও তারাই করে।
 
ঘটনার পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এনএসসি পরিচালক (উন্নয়ন) জিয়াউল হাসান শনিবার (২৫ এপ্রিল) রাজশাহীতে এসে দুর্ঘটনা কবলিত ফ্লাডলাইটের টাওয়ার পরিদর্শন করে গেছেন।

তিনি ঢাকায় গিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কছে এর প্রতিবেদন দাখিল করবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক রফিউস সামস প্যাডি বলেন, অনেক টাকার ব্যাপার। এক্ষেত্রে এনএসসি সময় নিতে পারে। তবে আশা করা যাচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব ফ্লাডলাইটের টাওয়ারটি সংস্কার এবং পুনর্স্থাপন করা হবে।

ঘটনাস্থল থেকে কোনো সরঞ্জামাদি চুরি করা সম্ভব নয় বলেও জানান জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক সামস প্যাডি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৭, ২০১৫
এসএস/টিআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।