ঢাকা: গে ফুটবলারদের মেনে নিতে কোনো আপত্তি নেই নতুন প্রজন্মের বৃটিশ ফুটবল ভক্তদের। ইংল্যান্ডের স্টাফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত এক অনলাইন জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে।
হোমোসেক্সুয়াল হিসেবে আত্মস্বীকৃত পেশাদার ফুটবলারদের ব্যাপারে নতুন প্রজন্মের ফুটবল ভক্তরা উদার হবে এমনটাই দেখা গেছে জরিপে।
২০০০ তরুণের মধ্যে মাত্র সাত শতাংশ মনে করেন ফুটবলে হোমোসেক্সুয়ালদের কোনো জায়গা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়টির সংস্কৃতি, গণমাধ্যম ও খেলাধূলা বিষয়ক অধ্যাপক এলিস ক্যাশমোর এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক জ্যামি কিল্যান্ড পরিচালিত জরিপে এ তথ্য বেরিয়ে আসে।
ক্যাশমোর রয়টার্সকে এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে বলেন,‘‘জরিপে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক দিক হচ্ছে স্ববিরোধিতার মতোই ৯৩ শতাংশ বলেছে তারা অনুভব করেন ফুটবলে হোমোফোবিয়ার (স্ব গোত্রের প্রতি যৌনাকাংখা) কোনো স্থান নেই। আর থাকলে সে আচরণ থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। এটা ফুটবলের জন্য লজ্জা বয়ে আনে। ’’
ফুটবলাঙ্গনে আরো স্বচ্ছতার আহবান জানানো হয়েছে জরিপে। অনেকেই বলেছেন গে ফুটবলার নিজেদেরকে প্রকাশ করুক। কারণ তারা গে হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলে নিপীড়নের মুখে পড়বেন বলে ধারণা করেন।
ইংল্যান্ডের পেশাদার ফুটবলারদের মধ্যে একমাত্র জাস্টিন ফ্যাশানু জাতীয় দলের ফুটবলার ছিলেন, খেলোয়াড়ি জীবনেই নিজেকে গে হিসেবে ঘোষণা করেন। কিন্তু ১৯৯৮ সালে ৩৭ বছর বয়সে আত্মহত্যা করেন এই ফুটবলার।
তবে ধারণা করা হয় ফুটবলাঙ্গনসহ ক্রীড়াঙ্গনে হোমোসেক্সুয়াল খেলোয়াড়দের সংখ্যা নেহাত কম নয়। কিন্তু নিজেদেরকে স্বরুপে প্রকাশ করতে অনীহা রয়েছে তাদের।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘন্টা, জুলাই ২৭, ২০১০