ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে ভিন্ন স্বাদের ফুটবল হবে

সেকান্দার আলী | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১১
স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে ভিন্ন স্বাদের ফুটবল হবে

ঢাকা: শীর্ষ দল ছাড়া এই প্রথম ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল, এনিয়ে জল্পনা-কল্পনা হতে পারে। কিন্তু ফুটবলে যে একটা বৈচিত্র্য এসেছে তা কি ভেবে দেখেছেন দর্শকরা।



আসলে বাংলাদেশের কাবফুটবল তো একঘেয়ে হয়ে পড়েছিলো তিনচারটি কাবের একচ্ছত্র ফাইনাল দেখতে দেখতে। খানিক সময়ের জন্য হলেও শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্র এবং ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ভিন্ন স্বাদ এনে দিতে যাচ্ছে। উত্তেজনায় গ্যালারি হয়তো ফুঁসবে না। তবে মাঠে উত্তাল ঢেউ বয়ে যেতে পারে দ্ইু সম শক্তির লড়াইয়ে।

কাগজে কলমে শেখ রাসেলের বিপরীতে ছোট দল হিসেবে দেখা হচ্ছে ফরাশগঞ্জকে। অথচ পুরাতন ঢাকার এই দলটিই আবাহনী লিমিটেড এবং শেখ জামাল ধানমন্ডি কাবকে হারিয়ে ফাইনাল খেলছে। সেদিক থেকে শেখ রাসেলের কোচ মাহমুদুল হক লিটন সতর্ক। বলছিলেন,“কাগজ কলমে তারা ছোট হতে পারে। পারফরমেন্সে মোটেও ছোট নয়। আবাহনী এবং শেখ জামালের মতো দলকে হারিয়ে এসেছে। তারপরেও আমরা আত্মবিশ্বাসী ফাইনালে ভালো খেলবো এবং শিরোপা জিততে পারবো। ”

শেখ রাসেলের সবচেয়ে বড় পাওয়া এডওয়ার্ড ভিক্টরের ফর্মে থাকা। রাশিয়া থেকে উড়ে আসা সুযোগসন্ধানী স্ট্রাইকা ভিক্টরের দর্শনীয় গোলেই সেমিফাইনালের বৈতরণী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসে প্রথম কোন টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলছে শেখ রাসেল। ফাইনালেও হয়তো ফরাশগঞ্জের সঙ্গে ব্যবধান গড়ে দেবেন এই রাশান। এদিকে দলের মাঝমাঠের খেলোয়াড় মরো মোহাম্মদ আগের ম্যাচে জ্বর নিয়ে খেললেও ফাইনালে নাও থাকতে পারেন। তার জায়গায় খেলানো হতে পারে আরেক বিদেশি রাফায়েলকে।

অন্যদিকে ১৯৮৪ সালে প্রথম বিভাগ ফুটবলে খেলার যোগ্যতা অর্জনের পর এই প্রথম কোন টুর্নামেন্টের ফাইনালে খেলছে ফরাশগঞ্জ। সেদিক থেকে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন তাদেরও আছে। দলের কোচ কামাল বাবুরও বিশ্বাস জয় শিরোপা তাদেরই হবে,“শেখ রাসেল অনেক ভালো দল। লিগেরও শীর্ষে অবস্থান করছে। তাদের বিদেশি ফুটবলারও ভালো মানের। সবদিক থেকেই ফাইনালের প্রতিপক্ষ হিসেবে শেখ রাসেল এগিয়ে। তবে আমাদের হারানোর কিছু নেই। আমরা চিন্তাও করিনি ফাইনাল খেলবো। খেলায় আমাদের কোন চাপ থাকবে না। তবে একটা বিষয় পরিষ্কার করে দিচ্ছি আমরা কিন্তু শিরোপার জন্যই খেলবো। ”

‘কাউন্টার অ্যাটাক’ থেকে গোল বের করে নেওয়ার দারুণ কৌশল রপ্ত করেছে ফরাশগঞ্জ। আগের ম্যাচগুলোতে এভাবেই জিতেছে। অবশ্য ফাইনালে ওই কৌশল কাজে নাও দিতে পারে। মাঝমাঠে খানিকটা খর্বশক্তির দলে পরিণত হয়েছে তারা। দলের গুরুত্বপূর্ণ বিদেশি খেলোয়াড় জোনাপ্রিও সেমিফাইনালে ৩৭ মিনিটে লাল কার্ড দেখেছেন। ফাইনালে তিনি নিষিদ্ধ। ওই ম্যাচে দুই হলুদ কার্ড থেকে লাল কার্ড পেয়েছেন ফরাশগঞ্জের আরেক খেলোয়াড় রনি। জোনাপ্রিও’র জায়গায় খেলতে পারেন ইদ্রিস অথবা কালু জনসন। রনির বিকল্প হিসেবে জাকির বা ময়লকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

খেলায় ছন্দ থাক বা না থাক স্বাধীনতা কাপের তৃতীয় আসরে নতুন চ্যাম্পিয়ন পাচ্ছে ফুটবল। যাদের ফুটবল ইতিহাসে প্রথম সাফল্যও হতে যাচ্ছে অর্জনের তালিকায়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।