ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

শেখ জামালকে হারিয়ে ফাইনালে ফরাশগঞ্জ

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০১১
শেখ জামালকে হারিয়ে ফাইনালে ফরাশগঞ্জ

ঢাকা: স্বাধীনতা কাপ ফুটবল কোচ কামাল বাবুর শিষ্যদের চমক অব্যাহত রয়েছে। কোয়ার্টার ফাইনালে ঢাকা আবাহনীকে  হারানোর পর বৃহস্পতিবার ৯ জনের দল নিয়েও ফরাশগঞ্জ সেমিফাইনালে ১-০ গোলে হারিয়েছে মৌসুমের আলোচিত দল শেখ জামালকে।

দলের পক্ষে জয়সূচক গোলটি করেন স্ট্রাইকার সোহেল রানা।

মেঘলা আবহাওয়ায় আলো স্বপ্লতার কারণে নির্ধারিত সময়ের ১০ মিনিট পর খেলা শুরু হয়। খেলা শুরুর পরই প্রবল বৃষ্টি। ফ্লাডলাইট দিয়েও বেশিদূর খেলা এগোনো যায়নি। মিনিট পনেরো খেলা হওয়ার পরই ম্যাচ স্থগিত করতে বাধ্য হন রেফারি। বৃষ্টি থামলে ২৬ মিনিট বাদে আবারো মাঠে গড়ায় খেলা। আক্রমণ -পাল্টা আক্রমণের মধ্যদিয়েই এগোতে থাকে ম্যাচ। কিছুদুর এগোনোর পর ম্যাচে আবারো বিপত্তি দেখা দেয়।

৩৭ মিনিটে ফরাশগঞ্জের কঙ্গো স্ট্রাইকার জুনাপিও প্রতিপক্ষের আরিফুল ইসলামকে ট্যাকল করলে রেফারি সরাসরি লাল কার্ড দেখান। রেফারি আজাদ রহমানের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে খেলতে অস্বীকৃতি জানায় ফরাশগঞ্জ। ১০ মিনিট পর আবারো খেলা শুরু হয়। তবে আগের সেই ছন্দ ছিলো না। একজন মাত্র স্ট্রাইকার সোহেল রানাকে আক্রমণের দায়িত্বে রেখে ডিফেন্সিভ খেলা শুরু করে পুরনো ঢাকার দলটি।

বিরতির আগে (৪২) শেখ জামালের দারুণ একটি প্রচেষ্টা রুখে দেন ফরাশগঞ্জ গোলরক্ষক আতিকুল ইসলাম তারিক। বক্সের বাইরে থেকে শাকিলের শটে আরিফ গোলমুখে বল ঠেলে দিলে তৎপরতার সঙ্গে বল নিজের আয়ত্বে দেন তারিক। গোলশূন্যভাবেই প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয়।

দ্বিতীয়ার্ধে একের পর এক আক্রমণে শেখ জামাল চেপে ধরে ফরাশগঞ্জকে। কিন্তু খেলার ধারার বিপরীতে উল্টো গোল খেয়ে যায় জাতীয় দলের ফুটবলারদের নিয়ে গড়া দলটি। ৫১ মিনিটে জুয়েল রানার পাস থেকে প্রায় মাঝমাঠ থেকে বল টেনে নিয়ে শেখ জামাল গোলরক্ষককে পরাভূত করেন আগের ম্যাচে আবাহনীকে হারানোর নায়ক সোহেল রানা। বাকি সময়ে ফরাশগঞ্জ গোলমুখে চাপ তৈরি করেও কোনো ফল বের করতে পারেনি কোচ পাকির আলির দল। ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে রেফারি দ্বিতীয় হলুদ কার্ডে শ্যামল আহমেদ রনিকে মাঠ থেকে বের করে দিলে ৯ জনের দলে পরিণত হয় ফরাশগঞ্জ। তবে শেখ জামাল সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে না পারায় টুর্নামেন্টের ফাইনাল নিশ্চিত করে কোচ কামাল বাবুর শিষ্যরা।

 ম্যাচ শেষে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কামাল বাবু বলেন,“শেখ জামাল অনেক বড় দল। তাদের বিপক্ষে আমরা জয়ের চিন্তা করে মাঠে নামিনি। রক্ষণাত্মক খেলে আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচটিকেও টাইব্রেকার পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিলো। কিন্তু রেফারি জুনাপিওকে অহেতুক লাল কার্ড দেওয়ায় সংশয়ে ছিলাম। তবে সোহেল রানা দুই দলের ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। ”

ম্যাচ জয়ের নায়ক সোহেল রানা বলেন,“গোল করবো এমন চিন্তা মাথায় ছিলো না। জুনাপিও লাল কার্ড দেখার পর কোচ আমাকে বলেছিলেন তুমি শুধু ওদের দুই ডিফেন্ডারের মাঝে অবস্থান নেবে। আমি সেটাই মেনে চলার চেষ্টা করেছি মাত্র। তবে সুযোগ এসে যায়, গোল পেয়ে যাই আমি। ”

এদিকে শেখ জামাল কোচ পাকির আলী পরাজয়ে কারণ সম্পর্কে বলেন,“দলের বিদেশী খেলোয়াড় আজ ভালো করতে পারেনি। এছাড়া খেলোয়াড়রা পরিকল্পনা মতো  খেলেনি। যখনই আক্রমণে গিয়েছে সবাই উঠে গিয়েছে ফলে প্রতিপক্ষ পাল্টা আক্রমণের সুযোগ পেয়েছে। আর প্রথমার্ধে একজন খেলোয়াড় মাঠ ছাড়ার পর ওরা আরো উদ্দীপ্ত হয়ে খেলেছে। বৃষ্টির পর আমার শিষ্যদের মনোযোগও একটু সরে যায়। ”

এ জয়ে প্রথমবারের মতো স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে জায়গা করে ফেডারেশন কাপের দুই বারের সেমিফাইনালিস্ট ফরাশগঞ্জ। বড় কোনো প্রতিযোগিতায় এটাই সেরা সাফল্য তাদের।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘণ্টা, ২১ এপ্রিল, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।