ঢাকা: যত্রতত্র পথচারিদের ছোটাছুটি নেই। হকারমুক্ত ফুটপাথ।
২০১১ সালের বিশ্বকাপ আয়োজক স্থানীয় কমিটির আহ্বায়ক দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল এভাবেই বর্ণনা দিয়েছেন। বিশ্বকাপের পুরো সময়টা ঢাকা এবং চট্টগ্রাম ভেন্যুর সড়ক এবং আশপাশের এলাকা সাজানো থাকবে বলে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানিয়েছেন।
ঢাকায় হোটেল শেরাটন এবং সোনারগাঁও থেকে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম এবং বিকল্প ভেন্যু ফতুল্লাহ খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে যাতায়াতের সুব্যবস্থা করা হবে। কিছু কিছু সড়কে যান চলাচল বন্ধ এবং সীমিত করা হবে বলেও জানিয়েছেন টুটুল।
মিরপুর স্টেডিয়াম এলাকার ফুটপাথ বড় করা হবে। এরই মধ্যে উন্নয়ন কাজ শুরু হয়েছে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে বিশ্বকাপ স্থানীয় আয়োজক কমিটি থেকে যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে বলে জানান টুটুল।
বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটি বিষয়টি যত সহজ মনে করছেন বাস্তব চিত্র তেমন নয়। খোদ শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেয়িামের আশপাশের পরিবেশ উন্নয়নে কোন উদ্যোগ নেই। স্টেডিয়ামের পাশের শৌচাগার দুটোরও উন্নয়ন করা হচ্ছে না। খোলা অবস্থায় পড়ে আছে জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্স এবং স্টেডিয়ামের উত্তর ও পশ্চিম পাশের ড্রেন। ফলে মশার উপদ্রবের পাশাপাশি দুর্গন্ধ সইতে হবে দেশি-বিদেশি ক্রিকেট অনুরাগীদের।
অবশ্য যে টুকুই উন্নয়ন বা পরিচ্ছন্ন কাজ করা হবে, বিশ্বকাপ শেষে তা আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন আয়োজকরা। এ বিষয়ে স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে তিনি বলেন,“বিশ্বকাপ শেষে স্টেডিয়ামগুলোর চারপাশের পরিবেশ কি হবে তা বলতে পারবো না। এগুলো দেখভাল করবে সিটি কর্পোরেশন। অতএব দখলমুক্ত রাখা সম্ভব হবে বলে মনে হয় না। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৯২২ ঘন্টা, জুলাই ২৬, ২০১০