ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

বাংলাদেশের ব্যাটিং দেখে বিস্মিত অস্ট্রেলিয়া

সেকান্দার আলী | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০১১
বাংলাদেশের ব্যাটিং দেখে বিস্মিত অস্ট্রেলিয়া

ঢাকা: বড্ড চোখে লাগার মতো ব্যাটিং হয়েছে। কোথায় জয়ের জন্য পাল্লা দেবে, তা না করে পুরো ৫০ ওভার খেলে এসেছেন সাতজনে।

দু’জন অপরাজিত, বাকি পাঁচজন আউট। সব মিলিয়ে রান হয়েছে ২১০। অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে পিছিয়ে ছিলো ৬০ রান। অর্থাৎ ৬০ রানে হেরেছে বাংলাদেশ।

অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ছিলো সাত উইকেটে ২৭০ রান। ওই পরিমাণ রান তাড়া করে ম্যাচ জেতা সম্ভব নয় ধরে নিয়েই বোধহয় ব্যাটিংয়ে যায় বাংলাদেশ। তা না হলে উইকেট পুষে রাখার কোন মানে হয় না। হাতে পাঁচ পাঁচটি উইকেট থাকা সত্ত্বেও রানের গতি বাড়েনি। অথচ চতুর্থ উইকেটে সেরা দুই ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান ১৭.১ ওভার ব্যাটিং করে ৬৭ রান তুলেছেন। রান তোলার গতি ছিলো ৩.৯০।

দলের প্রয়োজন না মিটলেও অধিনায়ক এবং সহ-অধিনায়ক ঠিকই নিজেদের প্রয়োজন মিটিয়ে নিয়েছেন। ৮৯ বলে ৬২ রান তুলেছেন তামিম। সমপরিমাণ বল খেলে সাকিব করেছেন ৫১ রান। যে দুই জন ব্যাটসম্যান অপরাজিত থাকলেন তারাই যা একটু রান করে গেছেন এবং রান তোলার সূচকটা উর্ধ্বমুখী নিয়েছেন। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৮.৫ ওভারে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ যোগ করেছেন ৬১ রান। রানের সূচক ছিলো ৬.৯০। জয়ের জন্য বাংলাদেশকে প্রতি ওভারে করতে হতো ৫.৪০ রান। সেখানে সাকিব বাহিনী ইনিংস শেষ করেছে ৪.২০ রান গড় নিয়ে।

বাংলাদেশের এই নেতিবাচক ব্যাটিং অনেকদিন হয় দেখা যায়নি। ৫৮ ও ৭৮ রানের চাপে পুরনো ভূত ঘাড়ে চেপেছে। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক পর্যন্ত বিস্মিত হয়েছেন বাংলাদেশ দলের এই ব্যাটিং দেখে। সংবাদ সম্মেলনে অসি অধিনায়ক বলছিলেন,“বাংলাদেশ দলের এভাবে ব্যাটিং করা দেখে আমি অবাক হয়েছি। তোমরা তোমাদের অধিনায়ককে প্রশ্ন করো। ”

ক্লার্কের কথা মতো সাকিবকে প্রশ্ন করা হলে ঘুরিয়ে উত্তর দেন,“বিশ্বকাপে ভালো ব্যাটিং হয়নি, সেজন্য সবাই একটু সতর্ক ছিলো। আমি এবং তামিম চেয়েছিলাম ৪০ ওভার পর্যন্ত খেলতে। তার পর যা হয় দেখা যাবে। ”

যথার্থ উত্তর না পাওয়ায় প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করতেই রেগে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক। উত্তর না দিয়ে অন্য প্রশ্নে চলে যান। খানিক পরে খ্যাতিমান একজন সাংবাদিক আগের প্রশ্নে ফিরে আসেন। এবার রানরেটের গ্রাফ বুঝিয়ে দিয়ে প্রশ্নের উত্তর দাবি করেন। পরিস্থিতির কাছে হার মানতে হয় সাকিবকে। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে উত্তর দিয়ে সংবাদ সম্মেলন শেষ করে চলে যান।

তামিম আউট হয়েছেন ৩০ ওভারে। সাকিব ৪১.১ ওভারে। এই দশ ওভার তিনি মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে ব্যাটিং করেছেন ধীরলয়ে। দেখে মনে হয়েছে কোন তাড়া নেই। জয়ের ক্ষুধা নেই। সব তৃষ্ণা মিটে গেছে বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাওয়া সাফল্য এবং বিশ্বকাপের তিনটি জয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।