ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

জয় দিয়ে শুরু ক্লার্কের

চঞ্চল ঘোষ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৯, ২০১১
জয় দিয়ে শুরু ক্লার্কের

ঢাকা: অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে মাইকেল ক্লার্কের কাছে। দায়িত্ব পাওয়ার পর প্রথম ম্যাচেই জয়।

শুধু কি তাই, ম্যাচে শতকও হাঁকিয়েছেন এই অল-রাউন্ডার। এই সুবাদে বাংলাদেশকে ৬০ রানে হারিয়ে তিন ম্যাচ একদিনের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো অসিরা।

অস্ট্রেলিয়া: ২৭০/৭ (৫০ ওভার)
বাংলাদেশ: ২১০/৫ (৫০ ওভার)
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৬০ রানে জয়ী   

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। ব্যাট করতে নেমে শুরুতে হোঁচট খায় মাইকেল ক্লার্কের দল। ১৬ রানের মধ্যে বিদায় নেন ওপেনার ব্রাড হাডিন (১০)। পেসার মাশরাফি বিন মতুর্জার বলে সরাসরি বোল্ড হন অসি উইকেটরক্ষক।

দলের ৭৪ রানের মধ্যে পরে আরও দুই উইকেট হারায় সফরকারীরা। ব্যক্তিগত ৩১ রানে রানআউট হন সাবেক অসি অধিনায়ক রিকি পন্টিং। আব্দুর রাজ্জাকের বলে এলবিডব্লু’র ফাঁদে পড়েন শেন ওয়াটসন। সাজঘরে ফেরার আগে ৩২ বলে ৩৭ রান করেন এই অল-রাউন্ডার। তিনটি চার ও দুটি ছয়ের মার ছিলো তার ইনিংসে।

চতুর্থ উইকেটে ক্লার্ক জুটি গড়েন ক্যামেরন হোয়াইটের সঙ্গে। এ জুটিতে আসে ৪৮ রান। সোহরাওয়ার্দীর বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অনে ইমরুল কায়েসের হাতে ধরা পড়েন ক্যামেরন (২০)।

বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে একদিনের ক্রিকেটে অভিষেক হলো মাইকেল ক্লার্কের! না বাক্যটি ঠিক হয়নি। কারণ একদিনের ক্রিকেটে বহুআগেই অভিষেক হয়েছে তার। আসলে অধিনয়াক হিসেবে অভিষেক হলো এই ব্যাটসম্যানের।

প্রথম ম্যাচেই ব্যাট হাতে বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে নিজের সামর্থ্যের জানান দিলেন ৩০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। হোয়াইটের পর পঞ্চম উইকেটে হাসির সঙ্গে করেন ৮৪ রান । ৪৫ ওভারে সোহরাওয়ার্দীর প্রথম বলেই মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দেন মি. ক্রিকেট খ্যাত হাসি (৩৩)। এই ওভারের শেষ বলে বাঁহাতি স্পিনারের তৃতীয় শিকার হন স্টিভ স্মিথ (৩)। পরে বড় জুটি গড়তে পারেননি ক্লার্ক। তাতে কি, দৃঢ়তার সঙ্গে খেলে শেষপর্যন্ত পূর্ণ করেন নিজের ষষ্ঠ শতক।

মূলত. তার শতকের ওপর ভর করে সাত উইকেট হারিয়ে ২৭০ রান তুলতে সমর্থ হয় সফরকারীরা। সাজঘরে ফেরার আগে ১১১ বলে ছয়টি চার ও দুটি ছক্কার সাহায্যে ১০১ রান করেন ক্লার্ক।

তিনটি উইকেট নেন সোহরাওয়াদী শুভ। এজন্য তিনি খরচ করেন ৪৪ রান। এছাড়া দুটি উইকেট নেন পেসার মাশরাফি বিন মতুর্জা।

জয়ের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। দলের ৯ রানের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন দুই ব্যাটসম্যান। ব্রেট লি’র বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ওপেনার ইমরুল কায়েস। ব্যক্তিগত শূন্য রানে মিচেল জনসনের বলে এলবিডব্লু’র ফাঁদে পড়েন শাহরিয়ার নাফিস।

পরপর দুই উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। তৃতীয় উইকেটে রকিবুলকে সঙ্গে নিয়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন ওপেনার তামিম ইকবাল। অবশ্য জুটি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই তা গুঁড়িয়ে দেন জন হেস্টিংস। এ জুটিতে আসে গুরুত্বপূর্ণ ৪০ রান। নিজের নামের পাশে ৭ রান যোগ হতেই বিদায় নেন রকিবুল।

এক প্রান্ত আগলে রেখে দারণ জবাব দিচ্ছিলেন উইসডেনের বর্ষসেরা ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। বড় শট হাঁকিয়ে অভ্যস্থ তামিম দীর্ঘায়িত করতে পারেননি নিজের ইনিংসটি। অর্ধশত পূর্ণ হওয়ার পরই বিদায় নেন আক্রমণাত্মক এই ক্রিকেটার।

আগে রকিবুল এবং পরে চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের সঙ্গে জুটি গড়েন তামিম। এ জুটির সংগ্রহ ৬৭ রান। ডোহার্টির বলে ডিপ মিডউইকেটে ক্যাচ আউট হন তামিম। সাজঘরে ফেরার আগে ক্যারিয়ারের ১৮তম অর্ধশত পূর্ণ করেন মারকুটে এই ব্যাটসম্যান। চারটি চার ও একটি ছক্কার সাহায্যে ৬২ রান করেন তিনি।

তামিমের পর দলের হাল ধরেন টাইগার অধিনায়ক। তার ব্যাট থেকে আসে ৫১ রান। স্টিভেন স্মিথের বলে ওয়াটসনের তালুবন্দী হন এই অল-রাউন্ডার। অধিনায়ক আউট না হলে পরাজয়ের ব্যবধান হয়তো কমে আসতো, কিন্তু হার ঠেকানো যেতো কি! কারণ তখনও প্রয়োজন ৫৩ বলে ১২৭ রান।
 
পরের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মুশফিকুর রহিম (৪৪) ও মাহমুদউল্লাহর (২৮) অপরাজিত রানের সুবাদে পাঁচ উইকেট হারিয়ে শেষপর্যন্ত ২১০ রান করে স্বাগতিকরা।

একটি করে উইকেট নেন ব্রেট লি, জন হেস্টিংস, স্টিভেন স্মিথ, মিচেল জনসন ও জেভিয়ার ডোহার্টি।

বাংলদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৯, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।