ঢাকা: অনেক, অনেক দিন পর পুরনো পাকিস্তানকে দেখলো টেস্ট ক্রিকেট। পোর খেতে খেতে ঘুড়ে দাঁড়ানোর মানসিক অবস্থা ফিরে পেয়েছে।
নতুন অধিনায়ক সালমান বাট ভাগ্যবান বটে। নেতৃত্ব নিয়েই জাতিকে উপহার দিয়েছেন জয়। শুধু তাই নয় টেস্ট ক্রিকেটে পরাজয়ের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসেছে ওয়াকার ইউনুসের দল।
অস্ট্রেলিয়ার কাছে টানা ১৩ ম্যাচ হেরে হাঁপিয়ে উঠেছিলো। বড় বড় তারকা খেলোয়াড়দের নিয়ে কিছুই করতে পারছিলো না। উল্টো সমালোচনা আর দলাদলিতে দিন দিন পিছিয়ে পড়ছিলো পাকিস্তান।
গৌরবমত দিনগুলো ফিরিয়ে আনতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো অভিজ্ঞ শহীদ আফ্রিদির ওপর। এই অস্ট্রেলিয়ার কাছে লর্ডস টেস্ট হেরে শেষে অবসর নিয়ে নেন। উপায়ান্তর না দেখে দায়িত্ব দেওয়া হয় তরুণ ব্যাটসম্যান সালমান বাটকে। প্রথম অভিযানেই সফল নতুন অধিনায়ক।
মৃত্যু ভয়ে যাদের দিন গুণতে হয়। সেই মানুষগুলোর মুখে একচিলতে হাসি ফোটাতে লড়াই করেছেন ইমরান খানের উত্তরসূরিরা।
৭ উইকেটে পাকিস্তানের দরকার ছিলো ৪০ রান। চতুর্থ দিন সকালে ব্যাটিংয়ে নেমে অসি বোলারদের তোপের মুখে পড়েন পাক ব্যাটসম্যানরা। জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলতে হারিয়ে বসে আরো চারটি উইকেট। অনেক চেষ্টার পর শেষে জয় ধরা দেয়।
দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানকে ১৮০ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছিলো একদিনের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। আপাতত দৃষ্টিতে সহজ লক্ষ্য। কিন্তু লিডসের সিমিং কন্ডিশনে মোটেও সহজ ছিলো না। ইমরান ফরহাতের ৬৭ এবং আজহার আলীর ৫০ রানেও লক্ষ্য পূরণ হচ্ছিলো না। দায়িত্ব নিতে পারছিলেন না অন্যরা। এই দুজন ছাড়া বাকিদের মধ্যে মাত্র তিনজন দুই অঙ্কে যেতে পেরেছেন।
নিজেদের পাতা ফাঁদেই আটকে গেছে অস্ট্রেলিয়া। টস জিতে আগে ব্যাটিং নিয়েছিলেন রিকি পন্টিং। মাত্র ৮৮ রানে অল-আউট হয় প্রথম ইনিংসে। মোহাম্মদ আমের, মোহাম্মদ আসিফ এবং উমর গুল ধ্বসিয়ে দেন সফরকারীদের ইনিংস।
জবাবে ২৫৮ রান করতে পারে পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়া নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে সংগ্রহ পায় ৩৪৯ রান। যোগ-বিয়োগের পর জয়ের জন্য পাকিস্তানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৮০ রান।
সাত উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন পাকিস্তানি পেসার মোহাম্মদ আমের এবং অস্ট্রেলিয়ার পেসার শেন ওয়াটসন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪১ ঘন্টা, জুলাই ২৪, ২০১০