ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

হকিতে আবাহনী মোহামেডান যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮১৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১০
হকিতে আবাহনী মোহামেডান যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন

ঢাকা: মোহামেডানকে ৫-২ গোলে উড়িয়ে দিয়ে গ্রিন ডেল্টা প্রিমিয়ার লিগে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আবাহনী লিমিটেড। এ জয়ের ফলে মোহামেডানের বিপক্ষে লিগের প্রথম ম্যাচে হারেরও প্রতিশোধ তুলে নেয় তারা।



দুটি করে গোল করে আবাহনীর ম্যাচ জয়ের নায়ক পুস্কর খিসা মিমো ও সোহেল আব্বাস। অপর গোলটি করেন মোদাচ্ছের আলী খান।

মোহামেডানের পক্ষে দুটি গোল শোধ করেন মুসা মিয়া ও মোহাম্মদ সাব্বির।

উভয় দলই ১৩ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট করে অর্জন করায় শিরোপা নির্ধারণের জন্য প্লে অফ ম্যাচের কথা ছিলো। কিন্তু রাতে লিগ কমিটির জরুরী সভায় নাটক মঞ্চস্থ হয়।

ফেডারেশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের হকির বৃহত্তর স্বার্থের কথা বিবেচনা করে উভয় দলের মতামতের ভিত্তিতে সর্বসম্মতিতে লিগে উভয় দলকেই যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন করা হয়েছে।    

মওলানা ভাসানী  স্টেডিয়ামে সুপার লিগের শেষ ম্যাচে কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে ছিলো মোহামেডানই। লিগের প্রথম মুখোমুখিতে আবাহনীকে ৩-০ তে হারিয়ে মানসিকভাবেও এগিয়ে ছিলো।

কিন্তু দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে যেমন হয়, আবাহনীর পিছু হটার কোনো সুযোগ ছিলো না। ম্যাচের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। মিমো, বিপ্লব ও মুদাচ্ছেরদের ঝলসে ওঠার দিনে আবাহনীর কাছে পাত্তাই পায়নি মোহামেডান।

৬ মিনিটেই পেনাল্টি কর্নার (পিসি) আদায় করে নেয় কোচ কাওসার আলির দল। মুদাচ্ছেরের পুশ বিপ্লব স্টপ করে হিট নেওয়ার সুযোগ দেন সোহেল আব্বাসকে। নিরাশ করেননি তিনি। আবাহনীকে ১-০ গোলে এগিয়ে দেন এই পিসি স্পেশালিস্ট। তবে ২৩ মিনিটে জনের পাস থেকে ফিল্ড গোলে মোহামেডানকে সমতায় ফেরান মুসা মিয়া।

৩১ মিনিটে বিপ্লবের পাস থেকে পুস্কর খিসা মিমোর গোলে আবারো এগিয়ে যায় আবাহনী। কিন্তু প্রথমার্ধে প্রতিপক্ষকে এগিয়ে যেতে দেয়নি মোহামেডান। তিন মিনিট বাদেই মুসা মিয়ার পাস থেকে সাব্বিরের গোলে ২-২ গোলে সমতায় ফিরে আসে ইসা মিয়ার দল।

বিরতির পর সময়টা ছিল শুধুই আবাহনীর। ৪৩ মিনিটে পিসি থেকে সোহেল আব্বাসের গোলে ৩-২ গোলে এগিয়ে যায় ফারুক আহমেদের দল। প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগের ভুলের সুযোগ নিয়ে ৫৭ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি আদায় করেন মিমো।   পরের মিনিটেই মোহামেডানের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন মুদাচ্ছের।

ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে (৭০ মি:) এক গোল পরিশোধের সুযোগ পেয়েছিলো মোহামেডান কিন্তু মোহাম্মদ আতিকের নেওয়া পেনাল্টি স্ট্রোকটি ঠেকিয়ে দেন পুরো ম্যাচেই নৈপূন্যে উজ্জ্বল আবাহনীর পাকিস্তানি গোলরক্ষক নাসির আহমেদ।

ম্যাচ জয়ের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আবাহনী কোচ কাওসার আলি বলেন,‘‘যেভাবে চেয়েছি। সেভাবেই সব হয়েছে। পুরো দলই অসাধারণ খেলেছে। এ বছরে আমরা ক্রিকেট ও ফুটবলে শিরোপা জিততে পারিনি। তাই হকিতে জিততে চেয়েছি। খেলোয়াড়রা সেভাবেই খেলেছেন। ’’

তবে বড় জয়ের জন্য তিনি সোহেল আব্বাস ও মিমোর প্রশংসা করে বলেন,‘‘ সোহেল আব্বাস খুবই ভালো খেলেছেন। তবে এই ম্যাচে মিমো ছিলো এক্সট্রা অর্ডিনারি। ’’

অন্যদিকে হারের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মোহামেডান কোচ বরকত উল্লাহ চপল বলেন,‘‘ ম্যাচে কিছু সময়ের জন্য মনোসংযোগ ছিলো না খেলোয়াড়দের। সেটাই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। ’’

আবাহনী- মোহামেডান ম্যাচ দেখতে অনেকদিন পরে স্টেডিয়াম গ্যালারিতে দর্শক সমাগম হয়েছিলো চোখে পড়ার মতো। হাই ভোল্টেজ ম্যাচ দেখতে আসা দর্শকদের একেবারেই হতাশ করে মোহামেডানের হতশ্রী খেলা। ম্যাচ শেষে সমর্থকদের রোষানলে পড়ে সাদা-কালোরা। তবে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে।

সুপার লিগে দিনের অপর খেলায় মেরিনার ইয়াংস ৪-৩ গোলে সোনালী ব্যাংককে পরাজিত করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘন্টা, জুলাই ২৩, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।