ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

বিসিবি একাডেমির পেছনে এনএসসির মার্কেট বাণিজ্য

সেকান্দার আলী, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১০
বিসিবি একাডেমির পেছনে এনএসসির মার্কেট বাণিজ্য

ঢাকা: অবশেষে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম থেকে ফার্নিচারের দোকানগুলো সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। বিশ্বকাপের আগে অন্তত ১৪টি দোকান সরিয়ে নেওয়া হবে জিপি-বিসিবি একাডেমি ভবনের পেছনের মার্কেটে।



হোম অব ক্রিকেটের মর্যাদা ধরে রাখতে এবং স্টেডিয়াম এলাকার সৌন্দর্য বাড়াতে স্থায়ীভাবে পর্যায়ক্রমে সবগুলো দোকানই স্থানান্তরিত করা হবে নির্মানাধীন ফার্নিচার মার্কেটে।

মিরপুর আউটার স্টেডিয়াম হিসেবে পরিচিত বর্তমানে একাডেমির মাঠের পশ্চিম পাশে ছয় তলা মার্কেট নির্মাণ করছে এনএসসি। প্রতিটি ফোরে ১৬টি করে দোকান থাকবে। মার্কেটের সম্পূর্ণ কাজ শেষ হলে ৯৬টি দোকান স্থানান্তরিত করা সম্ভব হবে।

তবে ২০১১ সালে ক্রিকেট বিশ্বকাপের আগে ছয়তলা ভবনের কাজ শেষ হবে না। আপাতত একতলাতেই সীমাবদ্ধ থাকছে। বাজেটে ঘাটতি থাকায় ভবনটি ওপরের দিকের তলা বাড়ানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন এনএসসির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন পরিচালক আব্দুর রহমান।

শনিবার বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে আব্দুর রহমান বলেন,“বিশ্বকাপের আগে স্টেডিয়াম থেকে সবগুলো দোকান সরাতে পারলে ভালো হতো। কিন্তু মার্কেটের কাজ শেষ করা যাবে না। বিশ্বকাপের আগে তাই একতলাতেই সীমিত থাকতে হচ্ছে। ”

মার্কেটের নীচতলায় স্থানান্তরিত হবে ১৪টি দোকান। বাকি দুটির কি হবে এ বিষয়ে কিছু জানাননি এনএসসি পরিকল্পনা ও উন্নয়ন পরিচালক। শুধু তাই নয়। ক্রিকেট একাডেমি মাঠ আড়াল করে উত্তর পশ্চিম দিকে যে মার্কেট হচ্ছে তাকে ঘিরেও নতুন করে বার্ণিজ্য করার সুযোগ পাচ্ছেন কর্মকর্তারা।

শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে মোট ৩৭টি দোকান আছে। সবগুলো দোকান মার্কেটে স্থানান্তরিত করা হলেও অতিরিক্ত ৫৯টি দোকান থাকবে এনএসসির হাতে। নতুন করে বরাদ্দ দিয়ে সেখান থেকেও কোটি কোটি টাকা আয়ের সুযোগ পাচ্ছে এনএসসি। যা থেকে অনেকের পকেট ভাড়ি হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কর্মকর্তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবির এক কর্মকর্তা বলেন,“৩৭টি দোকান স্থানান্তরিত করার জন্য তিন তলা মার্কেটই যথেষ্ট। কিন্তু একাডেমির মাঠ আড়াল করে মার্কেটের ভিত্তি দেওয়া হয়েছে ছয় তলা। নিঃসন্দেহে অন্য কোন উদ্দেশ্য নিয়ে বিশাল মার্কেট করা হচ্ছে?”     

বিসিবি কার্যালয়ের উত্তর পাশ থেকে মিডিয়া সেন্টার পর্যন্ত মোট ১০টি এবং স্টেডিয়ামের দক্ষিণ পাশ থেকে চারটি দোকান সরানো হবে প্রথম পর্যায়ে। মূলত বিসিবি অফিসের উত্তর পাশের দোকানগুলো থেকে আগের মতো ব্যবসা হচ্ছে না বলে প্রথম পর্যায়েই সেগুলো সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। দক্ষিণ পাশ থেকে যে চারটি দোকান সরানো হচ্ছে সেখানেও দোকানিদের সুবিধা দেখা হয়েছে সবার আগে। নির্মাণাধীন কর্পোরেট বক্সের লিফট এবং সিড়িতে আড়াল হয়েছে ওই চারটি দোকান।  

জাতীয় ক্রীড়া পল্লী এবং ইনডোর স্টেডিয়ামের সামনের দোকানগুলো বহাল থাকবে। দক্ষিণ দিকেও কিছু দোকন পসরা সাজিয়ে বসবে। যদিও বিশ্বকাপের সময় পুরো স্টেডিয়াম এলাকায় কোন দোকান খোলা থাকবে না।

দোকান স্থানান্তর এবং একাডেমি মাঠের সামনে মার্কেট তৈরির বিষয়ে বিশ্বকাপ আয়োজক স্থানীয় কমিটির আহ্বায়ক দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন,“স্টেডিয়ামে দোকানগুলো যেহেতু আগে থেকেই আছে, তাদেরকে সরাতে হলে একটা জায়গার দরকার। সেকারণেই স্থায়ী সমাধানে একটি মার্কেট তৈরি করছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। কারণ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ তার নিজস্ব জায়গাতেই ভবন করছে। বিসিবির নিজস্ব সম্পদ নয়। ”

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘন্টা, জুলাই ২৪, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।