ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ শচীন

সেকান্দার আলী, ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম, মুম্বাই | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩, ২০১১
বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ শচীন

মুম্বাই: এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষের নাম শচীন রমেশ টেন্ডুলকার। ক্রিকেটের সবুজ সন্তান।

২১ বছরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ারে এই প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেলেন। তাও নিজের শহর মুম্বাইয়ে। তারওপর বিদায়ী বিশ্বকাপ। তার চেয়ে সুখী মানুষ কেউ হতে পারে না।

যদিও শচীনের আবেগ নিয়ন্ত্রণ হারায় না। বিশ্বকাপ জয়ের পরেও ব্যাটিং জিনিয়াসকে আবেগে ভেসে যেতে দেখা যায়নি। শুধু বলেছেন,“আমার জীবনের স্মরণীয় মুহূর্ত এই বিশ্বকাপ জয়। ”

ভারত রতœ শচীন বিশ্বকাপ জয়ের কৃতিত্ব দিয়েছেন সতীর্থদের। “আমি সবার আগে সতীর্থদের ধন্যবাদ দেবো। তাদের অকান্ত পরিশ্রমের ফসল এই সাফল্য। সবার সমন্বিত চেষ্টায় আমরা দেশের মাঠে বিশ্বকাপ জিতেছি। ”

দেশের মাঠে এই প্রথম কোন স্বাগতিক দেশ শিরোপা জেতে। ভারতের এই সাফল্যের অন্যতম রূপকার যুবরাজ সিং। তার অলরাউন্ড নৈপূন্যে বিশ্বকাপের অনেকগুলো ম্যাচ জিতেছে ভারত। অন্তত যে চারটি ম্যাচের সেরা হয়েছেন সেগুলো তো বটেই। বিশ্বকাপ জয়ের প্রতিক্রিয়ায় যুবরাজ বলছিলেন,“এই বিশ্বকাপ আমরা শচীনের জন্য জিততে চেয়েছি। আমরা পরিশ্রম করেছি এবং সফল হয়েছি। আমাদের প্রত্যেকের জন্য এই বিশ্বকাপ স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ”

বিশ্বকাপ শেষে গ্যালারি থেকে জয়ধ্বনি দিচ্ছেলিনে দর্শকরা। বাঁধভাঙ্গা আনন্দে ফেটে পড়েন ছেলে বুড়ো প্রত্যেকে। তারা তো এই আনন্দ দেখতেই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে এসেছিলেন। ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি সেজন্যই তো দর্শকদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। “আমি দর্শকদের কাছে কৃতজ্ঞ। তারা আমাদেরকে সমর্থন দিয়েছেন। ”

বিশ্বকাপের শুরু থেকে রান খরা যাচ্ছিলো ধোনির ব্যাটে। অনেক চেষ্টা করেও ফিরতে পারছিলেন না। দল জেতায় পার পেয়ে যান ভারত অধিনায়ক। তবে ফাইনালে হার না মানা ৯১ রানের ইনিংস খেলে এবং বিশ্বকাপ জিতে আগের ম্যাচগুলোর ব্যর্থতা মুছে দিয়েছেন। “দু’জনকে টপকে আমি আগে ব্যাটিংয়ে এসেছি। ভালো না করলে তো রক্ষা ছিলো না। চেষ্টা করেছি শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করতে। ”

বীরেন্দ্র শেবাগ এবং শচীন টেন্ডুলকার শুরুতেই আউট হয়ে গেলেও ভারতের ইনিংস মেরামত করেছেন গোতম গম্ভীর। ১২২ বলে খেলেছেন ৯৭ রানের ইনিংস। ইনিংসের বাকিটা টেনে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেছেন অধিনায়ক।

জয়ের নেপথ্যের কাহিনী প্রকাশ করেছেন বীরেন্দ্র শেবাগ। “ফাইনালে খেলা নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে আমরা বলেছি আমাদেরকে জিততে হবে। ওটাই প্রেরণা হয়ে কাজ করেছে। ”

এই বিশ্বকাপে দারুণ খেলেছেন জহির খান। বিশ্বকাপ জয় শচীনের জন্য উপহার বলে আখ্যা দিয়েছেন। “শচীন ২১ বছর ধরে খেলছেন। লাইনের ভেতরে ছিলেন। দেশকে অনেক দিয়েছেন। এই বিশ্বকাপ তার প্রাপ্য ছিলো। ”

বিশ্বকাপে ‘বি’ গ্রুপের দল ছিলো ভারত। রাউন্ড রবিন লিগে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করে। এরপর ইংল্যান্ডের সঙ্গে টাই এবং দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারলেও আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে গ্রুপের দ্বিতীয় দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে।

কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া এবং সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে খেলা নিশ্চিত করে। ফাইনালে শনিবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কাকে হারায়।
 
ভারতীয় সময়:০০০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad