ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

খেলা

বাংলাদেশ সেরা আইসিসি সভাপতি

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট, মুম্বাই থেকে | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১, ২০১১
বাংলাদেশ সেরা আইসিসি সভাপতি

মুম্বাই: বাংলাদেশে বিশ্বকাপের সেরা আয়োজন হয়েছে! কোন সাধারণ মানুষ নয় খোদ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) সভাপতি শাদ পাওয়ার এই স্বীকৃতি দিয়েছেন। এজন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার মুম্বাই ওয়াংখেড় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের কৃষিমন্ত্রী পাওয়ার বাংলাদেশের প্রশংসা করে বলেন,“প্রথমবার বিশ্বকাপ আয়োজন করলেও বাংলাদেশ সবচেয়ে ভালো করেছে। তাদের সুযোগ সুবিধা অনেক বেশি ছিলো। এত ভালো আয়োজন হবে ভাবতেও পারিনি। ”

ভারত, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যৌথভাবে বিশ্বকাপের আয়োজন করে বাংলাদেশ। স্বাগতিক হিসেবে গ্রুপের ছয়টি, দুটি কোয়ার্টার ফাইনাল ও চারটি প্রস্তুতি ম্যাচ আয়োজনের সুযোগ পায়। খেলাগুলো হয় ঢাকায় মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম, চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী বিভাগীয় স্টেডিয়াম এবং ফতুল্লাহ খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে (প্রস্তুতি)।

প্রতিটি স্টেডিয়ামই সংস্কার করে আধুনিক সুযোগ সুবিধা দিয়ে ঢেলে সাজানো হয়। বিশেষ করে হোম অব ক্রিকেট হিসেবে পরিচিত মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম আইসিসিসহ দেশ-বিদেশের অতিথি এবং সাংবাদিকদের মন কেড়ে নেয়। সুযোগ সুবিধা দেওয়ার দিক থেকেও দারুণ তৎপর ছিলো স্থানীয় আয়োজক কমিটি। সাংবাদিকদের কাজের সুবিধা এবং আপ্যায়নে বাংলাদেশ এক নম্বর জয়গাটি দখল করে নেয়। ভারত এবং শ্রীলঙ্কা এক্ষেত্রে অনেকটাই পিছিয়ে।

বিশ্বকাপের সফল আয়োজন নিয়ে দেশটির সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আইসিসি সভাপতি। “বিশ্বকাপের সুন্দর আয়োজনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমি ধন্যবাদ জানাই। বিসিবিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে তার সরকার। ”

এদিকে বিশ্বকাপের ফাইনালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ হচ্ছে ওয়াংখেড়ের মতো গোলিঘুপচির স্টেডিয়ামে। যার দর্শক ধারণক্ষমতা মাত্র ২৫ হাজার। ক্রিকেট পাগল ভারতীয় দর্শকদের মধ্যে মাত্র চার হাজার টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। বাকি আসন বরাদ্ধ রাখা হয়েছে দেশ বিদেশের ভিআইপি অতিথিদের জন্য। প্রেস বক্সে আসন সীমিত থাকায় বিভিন্ন ক্রিকেট খেলুড়ে দেশ থেকে ফাইনাল ম্যাচ কাভার করতে আসা সাংবাদিকদের টিকিট দিতে পারছে না আইসিসি। অসহায় হয়ে পড়েছেন সাংবাদিকরা। এবিষয়ে পাওয়ার বলেন,“এই স্টেডিয়াম অনেক পুরনো। এটাকে সংস্কার করে বড় করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া মুম্বাই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব পালন করছে। তারা যেভাবে করছে সেটাই আমাদেরকে মেনে নিতে হচ্ছে। ”

অথচ ভারত থেকে যত সাংবাদিক বাংলাদেশে খেলা কাভার করতে গিয়েছেন তাদের কেউ আসন বঞ্চিত হননি। এমন কি বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখেছেন বিশ্বের প্রায় তিন শতাধিক সাংবাদিক।

ভারতীয় সময়: ২১০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।