ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

শোয়েব বনাম আফ্রিদির ঠান্ডা যুদ্ধ!

সেকান্দার আলী, মোহালি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১১
শোয়েব বনাম আফ্রিদির ঠান্ডা যুদ্ধ!

মোহালি: চণ্ডিগড়ে ভারতীয় সাংবাদিকদের মধ্যে ফিসফাস হচ্ছে শোয়েব আখতারকে নিয়ে দলাদলি। সিনিয়র ক্রিকেটাররা চাইছেন শোয়েবকে।

কোচ এবং অধিনায়ক বলছেন হবে না। ভারতের বিপক্ষে খেলার আগে পাকিস্তান শিবিরে দলাদলি অবিশ্বাস্য! চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে হারাতে পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা যেখানে মুখিয়ে আছেন সেখানে দলাদলির খবর অপ্রচার ছাড়া কিছুই নয়।

অনেকেই দলাদলির গন্ধ শুকতে সেই সকাল থেকে মোহালির ক্রিকেট মাঠে পাকিস্তানের অনুশীলনের দিকে চোখ রাখেন।   দেখতে পান উল্টো চিত্র। একটি দল অবিচ্ছিন্ন লক্ষ্য নিয়ে অপক্ষা করছে সেমিফাইনাল জয়ের জন্য। শোয়েব আখতারকে দিয়ে ওভারের পর ওভার বোলিং করান কোচ ওয়াকার উইনুস। যদিও ভেতরের ঘটনা যাচাইয়ের সুযোগও হয়নি। শেষপর্যন্ত পাক ক্রিকেটারদের ওপরই নির্ভর করতে হয়। সোমবার সংবাদ সম্মেলনে দলাদলি বিষয়ক প্রশ্ন শুনে পেসার ওমর গুলের চোখ ছানাবরা হওয়ার যোগার। “উনারা দু’জনই সিনিয়র ক্রিকেটার। তাদের মধ্যে সম্পর্ক খুবই ভালো। কোন সমস্যা নেই। ”

আগের দিন রোববার সংবাদ সম্মেলনে মিজবাহ-উল-হক তো শোয়েবের হোয়ে কথাই বলেছেন। ‘হয়তো খেলছেন পিন্ডি এক্সপ্রেস’। সোমবার শোয়েবকে অন্যভাবে একাদশে দাবি করলেন ওমর গুল। “শোয়েব আমাদের দলের একজন ভালো বোলার। ও’ খেললে আমার জন্য ভালো হয়। আমার ওপর থেকে চাপ কমে যায়। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার পর শেষ ম্যাচ পর্যন্ত তাকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিলো। ”

পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ভেতরে অনেক সমস্যা থাকতে পারে। কিন্তু এই মুহূর্তে তা প্রকাশ হওয়ার নয়। অন্তত দেশের মানুষের কথা ভেবে হলেও উটকো ঝামেলা টেনে আনতে চাইবেন না অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। এছাড়া অনেক সাফল্যের নায়ক শোয়েবের বিদায়টাকে স্মরণীয় করে রাখতে হলেও অধিনায়ক চাইবেন বিশ্বকাপ জিততে। সেক্ষেত্রে দলাদলির সম্ভাবনা খুবই কম।  

প্রান্ত বদল করে প্রায় তিনঘণ্টা বোলিং চলে। কোচ ওয়াকার উইনুস পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় ছিলেন। উইকেটরক্ষক কামরান আকমল স্ট্যাম্পের পেছন থেকে পেস এবং স্পিনের হাত থেকে আসা বলগুলো গোলরক্ষকের মতো ঝাপিয়ে পড়ে দখলে নিয়েছেন। অনুশীলনে গতির ঝড় তুলতে দেখা যায় শোয়েবকে। স্পিড স্টারের বলের নিয়ন্ত্রণ নিতেই বেশি বেগ পেতে হয়েছে উইকেটরক্ষককে। বোঝাই যাচ্ছে পিন্ডি এক্সপ্রেস প্রস্তুত হচ্ছেন পাক-ভারত মহারণের নায়ক হতে।     

প্রশ্ন দেখা দিতে পারে তাহলে দলাদলিটা হচ্ছে কোথায়? একেবারেই যে হচ্ছে না তা নিশ্চিত করে বলার উপায় নেই। পাকিস্তান ক্রিকেট দল একেবারে নিজ্ঝাট থাকবে তাও হতে পারে না। সিনিয়র, জুনিয়র, নেতা এবং উপনেতার মধ্যে কিছু না কিছু ঝামেলা থাকতেই পারে। সেগুলো মাঠ পর্যন্ত না গড়ালেই হয়।  

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল থেকে শুরু করে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা শেন দৃষ্টি রাখছে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের ওপর। স্পট ফিক্সার এবং ছোটখাটো ঝুটঝামেলা এড়াতে পাকিস্তান দলের কাছে ভিড়তে দিচ্ছে না সাধারণ মানুষকে। সাংবাদিকদেরকেও নিদিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে হচ্ছে। অতএব ফিসফাস সত্য নাও হতে পারে। ভেতরের খবর বাইরে আসার সুযোগই বা কোথায়।

ভারতীয় সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, মার্চ ২৮, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।