মোহালি: ‘পাকিস্তান জিতে গা, পাকিস্তান জিতে গা’। মোহালিতে এই পাকিস্তানের জয় চেয়ে স্লোগান হচ্ছে ভাবতেই অবাক লাগে।
খোদ ভাতীয়দের মুখে মুখে পাকিস্তানের প্রশংসাবাণীর খই ফুটছে। রণবির সিং গাড়ির ব্যবসা করেন সীমানার বাঁধা ছাড়া ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে কোন বিভেদ নেই। রাজনীতিকরা যতই ধুম্রজাল তৈরি করে রাখেন না কেন ভারতের সাধারণ মানুষ পাকিস্তানকে ভালোবাসে এবং অতিথি মানে।
অনেক ভারতীয় মুখে শোনা গেছে পাকিস্তান জিতবে সেমিফাইনাল। শহীদ আফ্রিদি চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক হিসেবে ভারত থেকে ট্রফি নিয়ে পাকিস্তানে যাবেন। হোটেল ব্যবসায়ী রাজা সিং বলেন,“পাকিস্তানের মানুষ আমাদের অতিথি। তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছু করতে প্রস্তুত আমরা। দেখো না পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি খেলা দেখতে আসবেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংও মাঠে থেকে খেলা দেখবেন। তবে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষকে আমরা কেন আপন করে পাবো না। ”
দশম বিশ্বকাপের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ম্যাচটিকে ঘিরে যেভাবে দলে দলে মানুষ পাঞ্জাব মুখো হচ্ছে তাতে রাজ্য সরকারকে বাড়তি লোকের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য পুলিশ বাহিনীও চাপের মুখে। যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় সবধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে দেশ-বিদেশ থেকে আসা মানুষের জন্য হোটেলে, মোটেল এবং গেস্ট হাউজগুলোও কক্ষ বরাদ্ধ দিতে পারছে না। এই সুযোগে প্রতারক দলের উৎপাতও বেড়ে গেছে চণ্ডিগড়ে। হোটেল ঠিক করে দেওয়ার নামে বিদেশি অতিথিদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা কড়ি। নিরুপায় হয়ে বিদেশিদেরকে তা মেনেও নিতে হচ্ছে।
এখানেই শেষ নয়, সেল ফোনের সিম কার্ড তুলতে পারছে না পুলিশের অনুমতি না থাকায়। ইন্টারনেট মডেম সংযোগ পাচ্ছেন না খোদ ক্রীড়া সাংবাদিকরাও। নানা বিড়ম্বনার মধ্যদিয়েই ভারত-পাকিস্তানের মহারণ দেখার অপেক্ষায় দেশ-বিদেশের ক্রিকেট উন্মাদ জনতা।
ভারতীয় সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১১