ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

সেমিফাইনালের উত্তাপে ফুটছেন ভারতীয়রা

মোহালি থেকে, স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১১
সেমিফাইনালের উত্তাপে ফুটছেন ভারতীয়রা

মোহালি: একটি টিকেট দেবেন! আবদারটা ভারতীয়দের। পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের সেমিফইনালে খেলার সাক্ষী হতে দেশটির মানুষগুলোর এখন পাগল হওয়ার জোগার।

যে কোন মূল্যে খেলা দেখা চাই তাদের। সে পথ যে বন্ধ হয়ে আছে, ভারতীয়দের বিষয়টি ভালো ভাবে জানা। তারপরেও বাংলাদেশের সাংবাদিক পরিচয় জানার পর আবদার জুড়ে দেন ‘ভাই সাব এক টিকিট দে দো না’।

ঠাট্টা করে অনেকে তাদেরকে বলেছেন,‘২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমাদের (বাংলাদেশ) দেশে আসুন বিশ্বকাপের খেলা দেখাবো। আপনাদের দেশে এসেছি এখন আমাদেরকে খেলা দেখার সুযোগ করে দেন’।

ভারত-পাকিস্তান সেমিফাইনাল নিয়ে এতটাই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে যার প্রবল আকর্ষণে সীমানা পেরিয়ে পাঞ্জাবে জড় হচ্ছেন অনেকে। পাকিস্তান থেকে নারীপুরুষ আসছেন দলে দলে। প্রথম চালানে যারা দিল্লি হয়ে পাঞ্জাবে এসেছেন তাতে মহিলাদের সংখ্যাধিক্য। ওই দলের অনেকের হাতে টিকিট নেই। টিকিট পাওয়ার সম্ভাবনা নেই জেনেও তারা সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশী দেশে পাড়ি জমিয়েছেন পাক-ভারত মহারণে উত্তেজনার শরীক হতে।

সাধারণ মানুষের কথা বলে কি হবে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল থেকে অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড পাওয়ার পরেও অনেক সাংবাদিকের ভাগ্যে মাঠে বসে খেলা দেখার সম্ভাবনা ক্ষীণ। বিকল্প ব্যবস্থাও গড়ে তোলা হয়নি মোহালি স্টেডিয়ামে। এমন কি স্টেডিয়ামের বাইরে বা শহরের কোথাও ‘জায়ান্ট স্ক্রিন’ লাগানো হয়নি দর্শকদের মাঠের ফেভার দেওয়ার জন্য। তবুও দর্শক, সাংবাদিক এবং ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট হাজার হাজার মানুষ ভিড় করছেন পাঞ্জাবের রাজধানী চণ্ডিগড়ে।

এদিকে টিকিট কালোবাজারি হচ্ছে বলে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলোতে খবর প্রকাশ পেয়েছে। পাঞ্জাব পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছেও টিকিট কালোবাজারির খবর পৌঁছে গেছে। কিন্তু টিকিটের বিষয়টি স্পর্শকাতর হয়ে যাওয়ায় ঘাপটি মেরে বসে আছে পুলিশ।

ভারতের কাশ্মীর থেকে কন্যা কুমারিকা, কচ্ছ থেকে ঝুমরি মানুষের মুখে শুধু সেমিফাইনালের গল্প। কাল্পনিক গল্প নয় জ্যান্ত। যার আবেদন থাকবে ৩০ মার্চের খেলার শেষবল পর্যন্ত। ভারতীয়দের মতো পাকিস্তানেও সেমিফাইনাল নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন শহীদ আফ্রিদির দেশের সাংবাদিকরা।

ভারতীয় সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।