ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

যুদ্ধের আগে ভারতের বিনোদন রসদ

সেকান্দার আলী, মোহালী | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২১ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১১
যুদ্ধের আগে ভারতের বিনোদন রসদ

মোহালী: ভারতীয় দলের ওইচ্ছিক অনুশীলন হলেও শেষপর্যন্ত প্রত্যেকেই মাঠে উপস্থিত। গা গরমের জন্যই বোধহয় এসেছেন।

গা গরমই যখন হবে তখন শুধু শুধু মাঠে চক্কর দেওয়ার প্রয়োজন কি, ফুটবলে মেতে উঠলেই হয়। ধোনিরা ফুটবলে মজে গেলেন শুধু একজন ছাড়া। তিনি ক্রিকেটের তপস্যক শচীন টেন্ডুলকার। ক্রিকেট নিয়েই থাকলেন।

যদিও শেষপর্যন্ত ব্যাটবলের অধ্যাবসায়ে ছেদ টানতে হয় যুবরাজ সিংয়ের আহ্বানে। দূর থেকে শচীনকে ডেকে ডেকে হয়রান দশম বিশ্বকাপে ভারতীয় দলের ত্রাণকর্তা যুবরাজ সিং। ‘শচীন আ যাউ ইয়ার’। আবেগের ডাকে সাড়া না দিয়ে উপায় আছে। নিজের ব্যাটটা অন্য একজনের হাতে তুলে দিয়ে হ্যাট পড়েই ফুটবল খেলতে যুবরাজদের সঙ্গী হলেন। খেলার পুরো সময়টা শচীনের পায়ে ফুটবলের স্পর্শ লেগেছে বলে কেউ দেখেনি। একবার ট্যাকেল করতেও দেখা যায়নি। এটা তো হওয়ার নয়। তিনি যে ক্রিকেটের রতœ। বৃথা ফুটবল খেলতে গিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেমিফাইনালের আগে ঝুঁকি নেওয়ার প্রয়োজন কি। দু’দিন বাদেই তো তাকে হিসেব বদলে দিতে হবে। মহাযুদ্ধের মহাসৈনিককের কাছে শতকোটি মানুষের প্রত্যাশা যে অনেক।  

শচীনকে যে ফুটবলে নিয়ে গেলেন সেই যুবরাজ দুই থেকে তিনবার বলে লাথি দিয়েছেন। দৌঁড়াদৌঁড়িতে নেই। ঠায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খেলেছেন। গ্রুপ পর্ব থেকে যেভাবে বোলিং এবং ব্যাটিংয়ে শ্রম দিয়েছেন তাতে একদিন না দৌঁড়ালেও জড়তা ধারে কাছেও চাপতে পারবে না। মেদ, কেদ সবই তো পালিয়েছে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের মুখোমুখি হওয়ার আগে তার ফিট থাকাটা অপরিহার্য। এই বিশ্বকাপে এতটাই ভালো খেলছেন যুবরাজ, তাকে এখন রাজা রাজা মনে হচ্ছে। চারচারটি ম্যাচের সেরা। তা আবার বিশ্বকাপের মতো সেরা আসরে। যেনতেন কথা নয়। কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে কি দারুণ একটি ইনিংসই না খেলেছেন তিনি।   ৬৫ বলে ৫৭ রানের অনবদ্য এবং হার না মানা ম্যাচ জয়ী ইনিংস।

মহেন্দ্র সিং ধোনির অধিনায়কত্ব যে সম্পদশালী হচ্ছে তাতে সবচেয়ে বেশি অবদান যুবরাজেরই। শচীনকে ফেলে দেওয়ার নয়। তিনি যে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন। পাকিস্তানকে উড়িয়ে দেওয়ার জন্য হয়তো আরেকটি সেঞ্চুরির হাঁকানোর জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। ধোনির ব্যাটে রানের খড়া যাচ্ছে, তবে অন্যরা পুষিয়ে দিচ্ছেন। সব মিলে ভারতীয় দলটি এখন দেশের মাঠে বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখে। ফাইনালের আগে তাদেরকে খেলতে হচ্ছে মহাসেমিফাইনাল। ৩০ মার্চ মোহালির পাঞ্জাব ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অলিখিত মহাযুদ্ধ হবে। ব্যাটে বলের যুদ্ধ, গ্যালারিতে রাজনৈতিক যুদ্ধ।

ওহ ভারতীয় দল যে রোববার বিনোদনের অনুশীলনে এসেছে এনিয়ে কোন সন্দহ নেই। ফুটবলের পর তারা ভলিবল নিয়ে মেতে ছিলেন। একদল আবার গোল হয়ে বসে হাসি ঠাট্টা করছিলেন। ভারতের ক্রিকেটারদেরই বিনোদন নেওয়া মানায়। দেশের মাঠে খেলবে। হাজার হাজার মানুষের সমর্থন পাবে। সবই তাদের অনুকূলে। স্বাগতিকদের তো এখন ভালো থাকারই কথা।

ভারতীয় সময়: ১৮২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।