কলম্বো: দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান উপুল থারাঙ্গা ও তিলকারত্নে দিলশানের জোড়া শতকে ভর করে সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কা। জয়ের জন্য ২৩০ রান তাড়া করতে নেমে থারাঙ্গা ও দিলশান জুটিতে কোনো উইকেট না হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে লঙ্কানরা।
ইংল্যান্ড: ২২৯/১০ (৫০ ওভার)
শ্রীলঙ্কা: ২৩১/০ (৩৯.৩ ওভার)
ফল: শ্রীলঙ্কা ১০ উইকেটে জয়ী।
ইংলিশ ইনিংসের জবাবে ব্যাট করতে নেমে থারাঙ্গা ও দিলশানের ব্যাটিং ঝলকে বিশাল জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা। থারাঙ্গা ১২২ বল খেলে করেন ১০২ রান। তার ইনিংসে ১২টি চার ও একটি ছক্কার মার ছিলো। অন্যদিকে ১১৫ বলে ১০৮ রান করেন দিলশান। তার ইনিংসে ছিলো ১০টি চার ও দুইটি ছক্কার মার।
প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ইংলিশদের প্রথম উইকেটের পতন হয় দলীয় ২৯ রানে। তিলকারত্নে দিলশানের বলে পুল মারতে চেয়েছিলেন অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস (৫)। লাইন মিস করায় বল স্ট্যাম্পে আঘাত হানে। দুই রান যোগ হতেই বিদায় নিতে হয় ইয়ান বেলকেও। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের বলে মিডউইকেটে থিলান সামারাবীরার তালুবন্দী হন বেল (২৫)।
তৃতীয় উইকেটে ৬৪ রানের জুটি গড়ে দলের প্রাথমিক বিপদ সামাল দেন দুই ব্যাটসম্যান জোনাথন ট্রট ও রবি বোপারা। দলীয় ৯৫ রানে মুত্তিয়া মুরালিধরন বোপারাকে লেগ বিফোর ঊইকেট করে এই জুটি ভাঙ্গেন। রিভিউ চেয়েছিলেন বোপারা। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায় বলের গতিপথ ছিলো সোজা মিডল স্ট্যাম্প বরাবর। সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন আম্পায়ার।
ট্রট ও ইয়ন মর্গান চতুর্থ উইকেটে ইংল্যান্ডকে ৯১ রানের জুটি উপহার দেন। দলীয় ১৮৬ রানে মর্গানকে (৫০) ম্যাথুজের ক্যাচ বানিয়ে তুলে নেন লাসিথ মালিঙ্গা। নতুন ব্যাটসম্যান গ্রায়েম সোয়ানকে এলবিডব্লিউ’র ফাঁদে বিনা রানেই সাজঘরে ফেরান বোলার অজন্তা মেন্ডিস।
দলীয় ২১২ রানের মাথায় ষষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটে ইংলিশদের। শতরান থেকে মাত্র ১৪ রান দূরে থাকতে ট্রটকে ডিপ স্কোয়ারে জয়াবর্ধনের ক্যাচে পরিণত করেন মুরালিধরন।
ট্রটের ৮৬ রানই দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। ১১৫ বলের ধৈর্য্যশীল ইনিংসটিতে মাত্র দুটি বাউন্ডারি ছিলো।
মুরালিধরন ৫৪ রানে দুটি উইকেট নেন। এছাড়া একটি করে উইকেট নিয়েছেন মালিঙ্গা, দিলশান, ম্যাথুজ ও মেন্ডিজ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৫ ঘন্টা, ২৬ মার্চ, ২০১১