ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

প্রত্যাবর্তনের পর নয়া উচ্চতায় সাকিব

আবদুল্লাহ আল মামুন,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৪
প্রত্যাবর্তনের পর নয়া উচ্চতায় সাকিব ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম: তিন টেস্টের সিরিজে ২৫০ রান ও ২০ উইকেট নিতে পারলে নতুন করে লেখা হতো বিশ্ব ক্রিকেটের খেরোখাতা। সে খাতায় প্রথম কীর্তি হিসেবে যার নামটি থাকতো তিনি হলেন বিশ্ব সেরা অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসান।



কিন্তু ২৫০ রান পূরণ করতে পারলেও পারেননি ২০ উইকেট তুলে নিতে। ছিলেন ইতিহাসের দোরগোঁড়ায়। তবুও ক্রিকেটের বিশ্বমঞ্চে নতুন এই রেকর্ড ছুঁতে গিয়েও ছুঁতে না পারার কোন আক্ষেপ নেই। নেই কোন আফসোসও!

রোববার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়েকে হোয়াটওয়াশ করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে সাংবাদিকরা প্রশ্ন ছুড়ে দেন সাকিবকে। জানতে চাওয়া হয় প্রথম দুই টেস্টে ১৭ উইকেট তুলে নিয়ে শেষ টেস্টে মাত্র তিনটি উইকেট তুলে নিয়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করতে না পারায় কোন আফসোস রয়েছে কি না।

সাকিবের সেই চিরাচরিত নির্লিপ্ত জবাব,‘না,আফসোস কেন থাকবে। প্রথম দুই টেস্টে আমি ১৭ উইকেট না পেতাম? যদি দশটা হতো। ’

যথারীতি মুচকি হেসে উত্তর আরও একটু বাড়ালেন,‘ভাগ্য লাগে। এই টেস্টে হয়তো ভাগ্য ছিল না তাই হয়নি। কিন্তু এটা নিয়ে কোন আফসোস নেই। হলে অবশ্যই ভালো লাগতো। না হওয়াতে কোন সমস্যা নেই। ’

একই ম্যাচে সেঞ্চুরি ও ১০ উইকেট নিয়ে গড়েন অবিশ্বাস্য রেকর্ড, একই সিরিজে ২৫০ রান ও ১৫ উইকেট নিয়ে করে আরও একটি বিস্ময়কর রেকর্ড। সিরিজটা রেকর্ডে ভরপুর ছিল রেকর্ডের এ বরপুত্রের। তাই  এ সিরিজটি ক্যারিয়ারে আলাদা মর্যাদা পাবেন কি না জানতে চাওয়া হলে সাকিব জানান,‘আসলে ওভাবে বিশ্লেষণ কখনো করি না। হয়তো আরও একটু ভালো করতে পারতাম। ব্যাটিংয়ে হয়তো আর একটু ভালো করা যেত। সবমিলিয়ে যেটা মনে হয়- আমি খুবই সন্তুষ্ট এই সিরিজে। ’
   
দলের অর্জনে অবদান রেখে স্বীকৃতি পেলে ভালো লাগে বলে জানান সাকিব। তিনি বলেন,‘দলের জন্য কিছু করতে পারলে ভালো লাগে। অবশ্যই একটা ভালো অনুভূতি থাকে মনের ভেতরে। অন্তত দলের অর্জনে অংশীদার হতে পেরেছি। সিরিজ সেরা ওটারই একটা স্বীকৃতি। ’

বিসিবির নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে প্রত্যাবর্তনের পর কোন বিশেষ লক্ষ্য ছিল কিনা জানতে চাওয়া হলে টেস্ট ক্রিকেটের বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বলেন,‘না ওরকম কখনই কোন লক্ষ্য থাকে না। একেক সময় দেখি একেকজন একেক লক্ষ্য তৈরি করে। কিন্তু ওরকম কোন লক্ষ্য থাকে না। আগেও যেটা বলছি যে অবদান রাখা। করতে পারলে খুশি। আর ভালো খেললে সব থেকে বড় যেটা ব্যাপার নিজের কাছে ভালো লাগে। যখন আমি ভালো খেলতে পারি না কিংবা টিমের জন্য কন্ট্রিবিউট করতে পারি না। নিজের কাছে খারাপ লাগে যে আমি ভালো খেলতে পারলাম না। তো এই একটা তাড়া থাকে। ভালো খেললে ওই ব্যাপারটা ভালো লাগে। আর মন খুশি থাকলে তো সবই খুশি। ’

বিসিবির নিষেধাজ্ঞার কারণে খেলতে পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ। খেলতে পারলে হয়তো আরও কোন মাইলফলক ছুঁতেন এ অলরাউন্ডার! এটা নিয়ে কোন কষ্ট আছে কি না জানতে চাওয়া হলে সাকিব আল হাসানের হেঁয়ালি জবাব,‘ কে জানে। দেখা যেত এত খারাপ করতাম যে এই সিরিজেই থাকতাম না। ’

তবে প্রত্যাবর্তনের পর এমন দূর্দান্ত পারফর্ম করা ‘বিশেষ কিছু’ কি না জানতে চাওয়া হলে সাকিব জানান,‘না,স্পেশাল না। কিন্তু হ্যাঁ বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলাটা সবসময় স্পেশাল। যেহেতু এই খেলাটা আমার অনেক পছন্দের। ভালো খেললে ভালো লাগে। আসলে খেলার মজাটাই ওখানে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad