ঢাকা: খেলা শেষে শোক সমাবেশের আয়োজন হয়। ২০ থেকে ২২ জন মানুষের উপস্থিতিতে শোক প্রস্তাব রাখেন জেমি সিডন্স।
ঘরের ভেতরের খবর গোপনে জেনে নেওয়ার সুযোগ হয়নি। পাহাড়াদারদের জন্য আড়ি পাতারও সুযোগ ছিলো না। শেষ অবলম্বন ওই ক্রিকেটাররাই। শোক সমাবেশের ভেতরে পরিবেশ সম্পর্কে সামান্য যে তথ্যটুকু পাওয়া গেছে তা ক্রিকেটারদের কাছ থেকেই। ‘অভিযোগ নেই। অনুযোগও নেই। হারের ময়নাতদন্ত হয়নি। শুধু সান্ত¡না দেওয়া হয়েছে। ”
কোচ জেমি সিডন্স যেটুকু করেছেন নেহায়েত দায়িত্ব বোধ থেকে। কিন্তু ক্রিকেটারদের অনুভূতি শেষ পর্যন্ত শোকের ভেতরে আটকে থাকেনি। আলোচনায় গড়িয়েছে। আয়ারল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের পর খেলোয়াড়দের চোখ বেয়ে আনন্দ অশ্রু গড়ালেও শোকে তা হয়নি।
আসর ভাঙ্গে পৌঁনে পাঁচটায়। যে যার মতো হোটেলে ফেরার বাসের দিকে এগোতে থাকেন। হাঁটতে হাঁটতে শাহরিয়ার নাফিস দুই মিনিট কথা বলেন। “আসলে কোন কিছু বলার নেই। কেন হয়েছে সে প্রশ্ন হয়নি। তবে প্রত্যেকে দুঃখ প্রকাশ করেছে। আমাদের কষ্ট লাগছে। কোচও দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সান্ত¡না দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। সত্যিই আমরা দুঃখিত। ”
৭৮ রানে অলআউট হওয়ার পর দুঃখ প্রকাশ না করে উপায় আছে! তিন জয়ের আনন্দকেও যে ম্লান করে দিয়েছে ৫৮ ও ৭৮ রানের ঘটনা। শেষ ব্যক্তি হিসেবে পাওয়া যায় মোহাম্মদ আশরাফুলকে। একাদশের বাইরে থাকলেও দেখে মনে হচ্ছিলো পরাজয়ের লজ্জা তাকেই বেশি গ্রাস করেছে। পাশে দাঁড়াতেই হাঁটার গতি কমিয়ে শুধু বললেন,“খুব খারাপ হয়েছে। কত আশা নিয়ে দর্শকরা খেলা দেখতে এসেছিলেন। শেষটা বেশি খারাপ করে ফেলেছি। আমরাও পরাজয়টা মেনে নিতে পারছি না। ”
বাংলাদেশ দল যখন শোক ভুলতে আলোচনায় বসেছিলেন। অন্যপ্রান্তের সাজঘরে দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটাররা তখন খোশ মেজাজে অপরাহ্নের আহার সেরেছেন। সাকিব আল হাসানদের সামনে দিয়ে টিম বাসে উঠেছেন বান্ধবীকে নিয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২১ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১১