ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

দক্ষিণ আফ্রিকায় কুপোকাত বাংলাদেশ

চঞ্চল ঘোষ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯০৫ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১১
দক্ষিণ আফ্রিকায় কুপোকাত বাংলাদেশ

ঢাকা: দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বড় ব্যবধানে হারায় কোয়ার্টার ফাইনালে উঠার স্বপ্ন পূরণ হলো না বাংলাদেশের। গ্রুপের শেষ ম্যাচে প্রোটিয়াসদের বেঁধে দেওয়া ২৮৫ রান টপকাতে গিয়ে ৭৮ রানেই গুটিয়ে যায় সাকিব বাহিনী।

দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৮৪/৮ (৫০ওভার)
বাংলাদেশ: ৭৮ (২৮ ওভার)
ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ২০৬ রানে জয়ী

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন ওপেনার তামিম ইকবাল। কিন্তু পারেননি। শুধু তামিম একা নন ৩৬ রানের মধ্যেই আউট হন পাঁচ ব্যাটসম্যান।

তামিমকে দিয়ে শুরু করেন সোসোবে। এ পেসারের বল মারতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল (৫)। দলের ১৫ রানের মাথায় সোসোবের দ্বিতীয় শিকার হন অন্যওপেনার ইমরুল কায়েস। ব্যক্তিগত ৪ রানে বোল্ড হন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অর্ধশতক হাঁকানো ইমরুল।

দুই ওপেনারের বিদায়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। জন বোথার এলবিডব্লু’র ফাঁদে পড়েন জুনায়েদ সিদ্দিকী। সাজঘরে ফেরার আগে নামের পাশে ২ রান যোগ করেন। জ্বলে উঠতে পারেননি শাহরিয়ার নাফিসও (৫)। সোসোবের বলে বোল্ড হন তিনি।

টাইগারদের যাওয়া-আসার মিছিলে এরপর যোগ দেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম (৩)। রবিন পিটারসেনের বলে গ্রায়েম স্মিথের তালুবন্দী হন। উইকেটের প্রান্ত বদল করতে গিয়ে রানআউট হন মাহমুদউল্লাহ (৫)।

কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তার সেই প্রতিরোধ গুঁড়িয়ে দেন পিটারসেন। ব্যক্তিগত ৩০ রানে ইয়াকের হাতে ধরা পড়েন সাকিব। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ইনিংসটিও খেলেন তিনি। এরপর ২৮ ওভারে ৭৮ রান তুলেই অল-আউট হয় বাংলাদেশ।

এর আগে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনা করেন দুই ওপেনার। এ জুটিতে আসে ৯৮ রান।

মাহমুদউল্লাহর বল উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে পরাস্ত হন গ্রায়েম স্মিথ। জায়গায় পৌঁছার আগেই স্ট্যাম্প ভেঙ্গে দেন মুশফিকুর রহিম। ৪টি চারের সাহায্যে ৪৫ রান করেন প্রোটিয়াস অধিনায়ক।

৫৯ বলে অর্ধশতক হাঁকানোর পর অধিনায়কের পথ ধরেন হাশিম আমলা। আব্দুর রাজ্জাকের বলে বোল্ড হন এই ব্যাটসম্যান। ৬টি চারের সাহায্যে ৫১ রান করেন। ব্যক্তিগত ১৭ রানে আউট হন জেপি ডুমিনি। রুবেল হোসেনের শট বল খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছেন ক্যাচ দেন তিনি।

তিন ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চাড়ও হন অল-রাউন্ডার জ্যাক ক্যালিস। সাকিবের হাতে ফিরতি ক্যাচ দেওয়ার আগে তৃতীয় উইকেটে জেপি ডুমিনির সঙ্গে ৩৪ ও চতুর্থ উইকেটে ডি প্লেসিসের সঙ্গে ৮২ রানের জুটি গড়েন ক্যালিস। সাজঘরে ফেরার আগে অর্ধশতক পূর্ণ করেন এই ব্যাটসম্যান (৬৯)। ৫টি চার ও একটি ছক্কার মার ছিলো তার ইনিংসে।

সাকিব আল হাসানের দ্বিতীয় শিকার হন মর্নে ভ্যান ইয়াক। ব্যক্তিগত ৫ রানে বোল্ড হন প্রোটিয়াস উইকেটরক্ষক। এরপর রুবেল হোসেনের বলে তামিম ইকবালের হাতে ধরা পড়েন ফ্রান্সিস ডু প্লেসিস। ৫২ বলে ৫২ রান করেন তিনি। চারটি চার ও একটি ছক্কা দিয়ে নিজের ইনিংসটি সাজান প্লেসিস। শেষপর্যন্ত আট উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৮৪ রান তুলতে সমর্থ হয় দক্ষিণ আফ্রিকা।

৫৬ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নেন রুবেল হোসেন। দুটি উইকেট পান সাকিব আল হাসান। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও আব্দুর রাজ্জাক।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০০৭ সালে ৭৮ রানে গুটিয়ে গিয়েছিলো বারমুডা। সে হিসেবে বিশ্বকাপের নবম সর্বনিম্ন স্কোরটি এখন যৌথভাবে বাংলাদেশ ও বারমুডার দখলে। এছাড়া এ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৮ রানের সর্বনিম্ন রেকর্ডটিও (চতুর্থ) বাংলাদেশের।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩১ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।