ঢাকা: ‘খুব কষ্ট পেয়েছি। ’ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ছাড়া বাংলাদেশ দলের প্রতিটি ক্রিকেটার দুঃখ পেয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ হেরে যাওয়ায়।
ওই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতে গেলে বাংলাদেশের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা নিশ্চিত হয়ে যেতো। সেজন্য খেলার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত টিভির পর্দায় চোখ রেখেছেন ১৫ সদস্যের দলের ১৪ জনই। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড কর্মকর্তারা দলে দলে ভাগ হয়ে খেলা দেখেছেন। আমজনতাও উদগ্রীব হয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় দেখতে। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের আশায় গুড়ে বালি ঢেলে জয় তুলে নেয় ইংলিশরা।
ইনডোর থেকে ফেরার পথে জুনায়েদ সিদ্দিকীর কাছে শুধু জানতে চাওয়া হলো বৃহস্পতিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার খেলা দেখেছেন কি না? এরপর কোন প্রশ্ন করতে হয়নি। জুনায়েদ বলেছেন,“খুব কষ্ট পেয়েছি। খুব আশা করে ছিলাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতে যাবে। যা হওয়ার হয়ে গেছে। এখন আমাদের সামনে একটি পথই খোলা আছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হরাতে হবে। যে কোন মূল্যে আমরা জিততে চাই। আমাদেরকে জিততেই হবে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে যেভাবে চাপ নিয়ে খেলেছি এই ম্যাচে তার চেয়েও বেশি চাপ মনে হচ্ছে। ভালো খেলতে হবে। ”
মুশফিকুর রহিমও হতাশা কণ্ঠে জানালেন,“কষ্ট পেয়েছি। ওরা জিতে গেলে কোন চাপ থাকতো না। এখন কত চাপ। নক আউট ম্যাচ মনে করে আমাদেরকে খেলতে হবে। ”
শাহরিয়ার নাফিস কূটনৈতিক উত্তর দিয়েছেন,“ওরা জিতেছে এখন আমরা জিতবো। প্রতিটি বিভাগে আমরা যদি ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি জেতা সম্ভব। মানি দক্ষিণ আফ্রিকা ভালো দল। তবে সেরা ক্রিকেট খেলতে পারলে আমরাও জিতবো। ”
যিনি সবচেয়ে কম কথা বলেন সেই রুবেল হোসেনও প্রসঙ্গ পেয়ে মুখরা হয়ে গেলেন,“রুম থেকে বের হইনি শেষ পর্যন্ত খেলা দেখার জন্য। দুঃখ পেয়েছি। ”
শুধু সাকিব আল হাসান সংবাদ সম্মেলনে জানালেন,“ক্রিস গেইল আউট হয়ে যাওয়ার পর সিনেমা দেখেছি। ” কোটি কোটি মানুষের চোখ যে ম্যাচের দিকে আটকে পড়েছিলো। সেখানে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক খেলা রেখে সিনেমা উপভোগ করেছেন। অধিনায়ক হয়তো আগে থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ হেরে যাচ্ছে। বাহুল্য চাপ নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১১