ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

উন্নতির প্রমাণ দেবে বাংলাদেশ

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১১
উন্নতির প্রমাণ দেবে বাংলাদেশ

ঢাকা: দক্ষিণ আফ্রিকাকে চার বছর আগে যেভাবে জয় করেছিলো বাংলাদেশ তাকে মানুষ আপসেট বলে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপের সেই জয় ফিরে আসতে পারে মিরপুরে।

তবে এবার আপসেট হবে না, উন্নতির প্রমাণ দেবে।

বাংলাদেশ এখন মিনোস নেই। কেউ মিনোস ভাবেও না। দক্ষিণ আফ্রিকা সেই ভুল করলে মাঠে মারা যাবে। আন্তরিকতা নিয়ে খেলেও ইংল্যান্ডকে যেখানে পরাজয় বরণ করতে হয়েছে। তখন খেলোয়াড়রা মর্মান্তিক মনবেদনায় ভুগছিলেন। এখন তো ফুরফুরে মেজাজে এবং জয়ের অভ্যাস গড়ে উঠেছে। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলছিলেন,“পরিকল্পনা মতো খেলতে পারলে আমাদের ভালো সুযোগ আছে। আগে ব্যাট করলে ভালো স্কোর করতে হবে। আগে বল করলে সীমিত রানে আটকে রাখতে হবে। পর পর দুই জয় আমাদেরকে মানসিকভাবে উজ্জীবিত রাখবে। আমরাই সব কিছু করতে পারি। আমাদের ওপরই নির্ভর করছে। ”

একটি দলের জন্য ১০টি ভালো বলই যথেষ্ট। তেমনি তিন থেকে চার জন ব্যাটসম্যান বড় স্কোর পেলে প্রতিপক্ষের সামনে রানের পাহাড়ও দাঁড়িয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশ অধিনায়কও জোড় দিয়েছেন ভালো খেলার ওপর। “দলের জন্য প্রত্যেকে গুরুত্বপূর্ণ। ম্যাচ জিততে হলে সবাইকে অবদান রাখতে হবে। ”

কিন্তু দলটি যে দক্ষিণ আফ্রিকা। এখন পর্যন্ত গ্রুপে সবচেয়ে ভালো দলের তকমা গায়ে মেখে ঢাকায় খেলতে এসেছে তারা। পাঁচ ম্যাচের চারটিতে জয় তুলে নিয়ে ‘বি’ গ্রুপ থেকে সবার আগে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে আফ্রিকা মহাদেশের এই ক্রিকেট পরাশক্তি। এই দলটিকে সমীহ না করে উপায় আছে। সাকিবরা সমীহের চোখে দেখছেন,“তারা (দক্ষিণ আফ্রিকা) খুবই ভালো দল। এখানে এসেছে বিশ্বকাপ জিততে। তাদের স্পিনার এবং পেস বোলিং দুটোতেই ভালো করছে। খুব সতর্ক হয়ে স্পিন এবং সিম বোলিং খেলতে হবে। ”

মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের দুর্ভেদ্য পিচেও ভালো খেলার অভিজ্ঞতা আছে গ্রায়েম স্মিথদের। ২০০৮ সালে এই মাঠে দু’টি একদিনের ম্যাচে বাংলাদেশকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলো প্রটিয়াসরা। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ১৭৩ এবং তৃতীয় ম্যাচে ১৪৩ রানে অল-আউট হয় বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামেও ১৭৮ রানে অল-আউট হয়ে নয় উইকেটে হরে যায় বাংলাদেশ। সেবার সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছিলো স্বাগতিক শিবির। যদিও সাকিব দাবি করছেন,“সব দিক দেখলে ওরা আমাদের চেয়ে ভালো দল। এনিয়ে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু খেলা তো একটা দিনেরই এবং ৫০ ওভার, ৫০ ওভার দুই দল খেলবে। যারা ভালো খেলবে তারাই জিতবে। আমরা আামদের সুযোগটা নিতেই পারি। যতই ভালো দল হোক আমাদের কন্ডিশনে যে কারো জিততে কষ্টই হবে। যদি আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি। ”

ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দেওয়ার নায়ক ছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। ৮৩ বলে ৮৭ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলেছিলেন সাবেক অধিনায়ক। এছাড়া তমিম ইকবাল ৩৮ এবং আফতাব আহমেদ ৩৫ রান করেন। আশরাফুল বিশ্বকাপ দলে থাকলেও একাদশে নেই। আফতাব হারিয়ে গেছেন। তামিম এবং সাকিব যা একটু ভরসা। শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে হলে অধিনায়ক এবং সহ-অধিনায়ককে জ্বলে উঠতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।