ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

নুরু মিয়া গোল্ডকাপ শুরু

ফরিদপুরে শেখ জামাল স্টেডিয়াম উদ্বোধন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৪
ফরিদপুরে শেখ জামাল স্টেডিয়াম উদ্বোধন ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ফরিদপুর: ১৯৫৬ সালে নির্মিত ফরিদপুরের অবহেলিত জেলা স্টেডিয়ামটি (বর্তমানে শেখ জামাল স্টেডিয়াম) অবশেষে উদ্বোধন করা হয়েছে।

প্রায় দুই বছরের সংস্কার কাজ শেষে শনিবার বিকেলে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এটির উদ্বোধন করেন।



এদিকে, ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে এই স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে- ‘নুরু মিয়া গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট’। এ নিয়ে উদ্বেলিত ফরিদপুরের ক্রীড়া সংগঠক ও আয়োজকেরা।

স্টেডিয়াম উদ্বোধনের পাশাপাশি দেশের অন্যতম বড় ফুটবল আসর নুরু মিয়া গ্লোডকাপ শুরু হচ্ছে রোববার থেকে। এ বছর চতুর্থবারের  মতো নুরু মিয়া গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোলকাতা মোহন বাগান ও কোলকাতা একাদশসহ দেশের ১৪টি দল অংশ নিচ্ছে।

উদ্বোধন উপলক্ষে শেখ জামাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শনিবার বিকেলে প্রধান অতিথি প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী এর ফলক উন্মোচন করেন।
 
এ সময় তিনি বলেন, গত নির্বাচনে জনগণের রায় নিতে না এসে বিএনপি যে ভুল করেছে, তার খেসারত বিএনপি নেত্রীকে দিতে হবে।

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, যে নেত্রী নকল চুল পরেন, তিনি কীভাবে দেশের মানুষের জন্য আসল কিছু করবেন! জনগণ ঠিকমতো ভোট দিতে পারলে সারাজীবন মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দেবে।

তিনি তরুণ সমাজের প্রতি পড়ালেখার পাশাপাশি তাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য খেলাধুলা করার আহ্বান জানান।

এ সময় প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দেশের ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছে। এই স্টেডিয়ামে যেন সারাবছর ধরে খেলাধুলা চলে, তাহলেই এই সুন্দর স্টেডিয়াম  নির্মাণ সার্থক হবে।

প্রত্যেক শিশু ও তরুণ যেন এই মাঠে খেলতে পারে, সেজন্য তিনি ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তাদের প্রতি অনুরোধ জানান।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়ার সংস্থার সভাপতি সরদার সরাফত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. জামিল হাসান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আহসান তুহিন প্রমুখ।

৫৭ বছর আগে নির্মিত স্টেডিয়ামটির তেমন কোনো উন্নয়ন না হওয়ায় বিগত এক যুগ ধরে জরাজীর্ণ এই স্টেডিয়ামে তেমন কোনো ম্যাচ দেখতে পায়নি এই অঞ্চলের মানুষ। অবশেষে, এই অঞ্চলের মানুষ ও ক্রীড়ামোদীদের স্বপ্ন পূরণ হলো।

প্রসঙ্গত, স্টেডিয়ামটির নাজুক পরিস্থিতি দেখে প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রী সংস্কারের ভার নেন। পরবর্তীতে তার হস্তক্ষেপে স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ শুরু হয়। পুরনো সব গ্যালারি ভেঙে নতুন করে গ্যালারি ও মাঠ তৈরিসহ আনুষঙ্গিক কাজ করা হয়।

এ বিষয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আহসান তুহিন জানিয়েছেন, সম্প্রতি, প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে এক হাজার আটশ ফুট গ্যালারি, পাকা ড্রেন, ফেন্সিং ও মাঠ ভরাটের কাজ সম্পন্ন হয়।

আর গত মাসে ভিআইপি বক্স, প্রেসবক্স নির্মাণের জন্য বরাদ্দ হয়েছে আরো সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা।

১৯৫৬ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘ফরিদপুর স্টেডিয়ামটি’ তৎকালীন সিএসপি এ এফ রহমান উদ্বোধন করেছিলেন। তৎকালীন ফরিদপুর স্টেডিয়ামটি ফরিদপুরের জনগণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নাম পরিবর্তন হয়ে এর নতুন নামকরণ হয়েছে- শেখ জামাল স্টেডিয়াম।

এই স্টেডিয়ামটি জন্ম দিয়েছে ফুটবল ফেডারেশনের বর্তমান সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন, মতিয়ার রহমান মোকসেদ, সামসুদ্দোহা চাঁদের মতো ফুটবলার। এই মাঠ থেকেই তৈরি হয়েছে সাব্বির ইউসুফ, মাহাবুব হারুন, ঈসা-মুসা-ইয়ামিনের মতো হকি খেলোয়াড় আর বাতেন, এফি, তালহা, রবিনের মতো ক্রিকেটার।

ফরিদপুরের এই স্টেডিয়ামে খেলেছে, ইংল্যান্ডের বিখ্যাত এমসিসি ক্রিকেট দল, শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট ও কাবাডি টিম, রাশিয়ার তেরেক ফুটবল ক্লাবসহ হকি, ফুটবল ও ক্রিকেটের জাতীয় দলের নামি-দামি খেলোয়াড়েরা।

বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।