ঢাকা: মানুষ মুণ্ডপাত করেছে, ধিক্কার দিয়েছে, ক্ষোভে ফেটে পড়েছে। গ্যালারি থেকে ক্রিকেটারদের উদ্দেশে পানির বোতল ছুড়েছে।
দর্শকদের মেজাজ খারাপ হওয়ার অনেক কারণ আছে। প্রথমত: হাজার হাজার টাকা খরচ করে খেলা দেখতে এসে দেখলেন উইকেট পতনের মহড়া। দ্বিতীয়ত: দেশকে লজ্জা দেওয়ার অপমান সহ্য হয়নি।
অপমানের যন্ত্রণা মেটাতে `ভুয়া ভুয়া` বলে ধিক্কার দিয়েছেন। উল্টো সমর্থন করেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোন খেলোয়াড় চার-ছয় হাঁকালে উল্লাস করেছেন। মন খারাপ নিয়ে নিস্তব্ধ হয়ে বসে থাকতে দেখে গেছে বেশিরভাগ দর্শককে। যারা নেহায়েতই ভদ্রলোক তারা আগে ভাগে স্টেডিয়াম ত্যাগ করেছেন। প্রতিবাদের জন্য অনেকে সমবেত হতে থাকেন স্টেডিয়ামের চার পাশে। জল কামান, ট্যাঙ্ক এবং নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে বন্দুক দেখে তা হয়নি।
এই মানুষগুলো কিন্তু বাংলাদেশের একনিষ্ঠ সমর্থক। যারা নিয়মিত খেলা দেখতে আসেন, প্রিয় দলকে সমর্থন দেন, বিশ্বকাপে তারা বাংলাদেশের এই বিপর্যয়কে মেনে নিতে পারছিলেন না। প্রতিক্রিয়া জানতে প্রশ্ন করার প্রয়োজন হয়নি। প্রধান সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে দর্শকদের কথোপকথন এবং মুখ দেখে জীবন্ত প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে।
খেলার শেষ বল পর্যন্ত দেখেছেন এক পরিবারে তিন সদস্য। ছোট ছেলেকে তামিম ইকবালের মারকুটে ব্যাটিং দেখাতে নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু খোকার অভিজ্ঞতা হলো ক্রিকেট খেলা মানে শুধু আউট হওয়া। খোকার মায়ের সেকি ক্ষোভ! যাদের সমর্থন দিতে এসেছিলেন তাদেরকে গালমন্দ করেই বাড়ি ফেরার পথ ধরেছেন।
কবির আহমেদ প্রতিজ্ঞা করেছেন এই বিশ্বকাপে আর কোনো খেলাই দেখবেন না। “খেলা থেকে মন উঠে গেছে। বড় বড় কথা বলতে শিখেছেন আমাদের ক্রিকেটাররা। খেলতে গেলে পারেন না। কথায় খুব পারেন তারা। ছি..!”
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১১