ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

সাকিব-সামি কেউ হারতে চায় না

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২০ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০১১
সাকিব-সামি কেউ হারতে চায় না

ঢাকা: বিশ্বকাপে অদ্ভুত এক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে। প্রতিবারই দেখা হয়।

অর্থাৎ ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ যখন প্রথম বিশ্বকাপ খেলে তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পেয়েছিলো প্রতিপক্ষ হিসেবে। পরের দুই বিশ্বকাপ ২০০৩ এবং ২০০৭ সালেও খেলেছে দুই দেশ। ২০১১’র বিশ্বকাপে এখনো খেলেনি। তবে খেলবে।

এই চারবারের মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ একবার স্বাগতিক হিসেবে খেলেছে। বাংলাদেশ স্বাগতিক হিসেবে শুক্রবার খেলবে। ফলাফল একপাক্ষিক, দু’বার ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছে। অন্য ম্যাচে ফল হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকায় বৃষ্টি বাঁধা হওয়ায় শেষপর্যন্ত খেলা অসমাপ্ত রেখে শেষ করতে হয়।

আমিনুল ইসলাম বুলবুল, খালেদ মাসুদ পাইলট এবং হাবিবুল বাশার জোর গলায় বলতে পারেননি ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে দেবেন। তবে সাকিব আল হাসান বলছেন ‘জয়ের জন্য খেলবেন’। ব্যাটেবলে হলে জয় পেয়েও যেতে পারে।  

দেশের মাঠে খেলা, দর্শক সমর্থন এবং সাম্প্রতিক পারফরমেন্স মিলে সুবিধাজনক অবস্থায় থেকে খেলবে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিছুটা হলেও ব্যাকফুটে। নয় বছর পর বাংলাদেশে খেলছে। দেড় বছর আগে দেশের মাটিতে টেস্ট এবং একদিনের সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছে সাকিবদের কাছে। যদিও ওই সময়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ক্রিস গেইল, রামনরেশ সারওয়ান এবং শিবনারায়ন চন্দরপলরা খেলেননি। বর্তমান দলে প্রত্যেকে আছেন। বোলিং, ব্যাটিং, ফিল্ডিং প্রতিটি বিভাগে উন্নতি হয়েছে। সব কিছু বিচার বিশ্লেষণ করে অধিনায়ক সাকিব বলেছেন,“ভালো খেললে অবশ্যই হারানো সম্ভব। দু’টি দলের পার্থক্য হচ্ছে, সেই দল অভিজ্ঞ ও সিনিয়র ক্রিকেটাররা ছিলেন না। যারা ছিলেন এখন তারাও অনেক অভিজ্ঞ। গেইল, সারওয়ান, চন্দরপলরা দলে আসায় ওদের জন্য অনেক বড় ‘বুস্টআপ’ হবে। ”

মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামেও ক্যারিবিয়ান সুখস্মৃতি ফিরিয়ে আসতে পারে। ওই সাফল্য এখনো প্রেরণা যোগায় সাকিবদের,“যতই ওদের দলে সিনিয়র ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা ফিরে আসুক, আমাদের মনে আছে ওদের দেশের মাটিতে গিয়ে শেষ সিরিজে ভালো ক্রিকেট খেলেছি আমরা। সিনিয়র ক্রিকেটাররা দলে ফেরায় কিছুটা তো ওরা উজ্জীবিতই। তাই বলে আমরা যে আগে থেকেই ব্যাকফুটে চলে যাবো তা কিন্তু নয়। যেহেতু আমাদের হোম কন্ডিশনে খেলা, আমাদের যে সমর্থনটা আছে, এসব ব্যাপার আমার মনে হয় ওদের অভিজ্ঞ ও সিনিয়র প্লেয়ার দলে আসাটা কভার করে নেবে। তবে সেরা ক্রিকেট খেলতে পারলে হয়তো ভালো একটা ফলাফল আমাদের পক্ষে আসবে। ”

ওয়েস্ট ইন্ডিজও পিছিয়ে নেই। যে কোন মূল্যে জয় পেতে চেষ্টা অব্যাহত রাখবে ক্যারিবিয়রা। বুধবার দলের ম্যানেজার রিচি রিচার্ডসন একপ্রকার ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে জয়ের জন্য খেলবে তারা। “বাংলাদেশের মাঠে বাংলাদেশের সঙ্গে খেলা কঠিন তবে এই ম্যাচটা আমরা জিততে চাই। আমাদের সামর্থ্য আছে। আশা করি বাংলাদেশকে হারাতে পারবো। ”

শুধু ম্যানেজার নন পুরো ওয়েস্ট ইন্ডিজ এক সুরে কথা বলছে। অধিনায়ক ড্যারেন সামি ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে জানালেন,“বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকে জয়ের জন্য খেলে। নিজেদের দিনে যে কোন দল জিততে পারে। এখানে ফেভারিট বলে কিছু নেই। আমার ভালো খেলতে চাই। ”

দুই দলের ব্যবধান গড়ে দেবেন মূলত বোলাররা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের আছে কেমার রোচ, সামি, সোলেমান বেনদের মতো ম্যাচ উইনার বোলার। বাংলাদেশের আছে আব্দুর রাজ্জাক, সাকিব, নাঈম ইসলাম, শফিউল ইসলাম ও রুবেল হোসেন। আসলে লড়াইটা হবে স্পিনার বনাম পেসারদের মধ্যে। বাংলাদেশ স্পিনে ভালো, ওয়েস্ট ইন্ডিজ পেস বোলিংয়ে।

সব কিছুর মূলে জয় পেতে মুখিয়ে আছে দুই জাতি। কারণ এই ম্যাচের ওপর নির্ভর করছে কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়া না যাওয়ার রেসে থাকার বিষয়টি। সাকিব বলেছেন,“এই ম্যাচে জয় পেলে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। কারণ আমাদেরকে আরো তিনটি ম্যাচ জিততে হবে। তারমধ্যে এটা অন্যতম। ”

ওয়েস্ট ইন্ডিজেরও একই কথা। কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে হলে বাংলাদেশকে হারাতে হবে। আমরা ‘উইনিং স্পিরিট’ ধরে রাখতে চাই। ”

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।