ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ফুটবল

ইতিহাস গড়ে কোয়ার্টার ফাইনালে কোস্টারিকা

ওয়ার্ল্ড কাপ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫০২ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৪
ইতিহাস গড়ে কোয়ার্টার ফাইনালে কোস্টারিকা ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: পেনাল্টি শুট আউটে কোস্টারিকার গোলরক্ষক কেইলর নাভাসের দৃঢ়তায় জয় পেয়েছে কোস্টারিকা। আর এ জয়ের মধ্য দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের শেষ আটে পৌঁছে গেছে মধ্য আমেরিকার দল কোস্টারিকা।



নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলের সমতায় শেষ হলে অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় ম্যাচটি। অতিরিক্ত সময়ে কোনো দলই আর কোনো গোল করতে না পারায় ট্রাইব্রেকে খেলার নিষ্পত্তি হয়।

কোস্টারিকার হয়ে প্রথম পেনাল্টি শট নেন সেলসো বোর্হেস। গ্রিসের গোলরক্ষক ওরেসতিস কার্নেজিস তার শট আটকাতে ব্যর্থ হলে ১-০ তে এগিয়ে যায় কোস্টারিকা। এরপর মিত্রগলু গ্রিসের হয়ে প্রথম পেনাল্টি থেকে গোল করে ১-১ সমতা আনেন।

কোস্টারিকার হয়ে দ্বিতীয় পেনাল্টি নিতে আসেন ব্রায়ান রুইজ। রুইজের গোলে ২-১ এগিয়ে যায় কোস্টারিকা। তবে দ্বিতীয় শটে ক্রিস্তোদোলোপৌলস গোল করলে আবারও ২-২ সমতায় ফেরে গ্রিস।

কোস্টারিকার তৃতীয় পেনাল্টি শট নিতে এসে গোল করেন গনজালেজ। অন্যদিকে গ্রিসের হযে তৃতীয় শট থেকে গোল করে ৩-৩ সমতা আনেন হোলেবাস।

কোস্টারিকার ৪র্থ পেনাল্টি শট নেন জোয়েল ক্যাম্পবেল। তিনি গোল করে কোস্টারিকাকে ৪-৩ গোলে এগিয়ে দেন। এরপর কোস্টারিকা গোলরক্ষক কেইলর নাভাস গ্রিসের খেলোয়াড় গেকাসের জোরালো শট ফিরিয়ে দিলে ৪-৩ গোলে পিছিয়ে পড়ে গ্রিস।

এরপর মাইকেল ওমানিয়া কোস্টরিকার হযে ৫ম শটে গোল করলে গ্যালরি জুড়ে কোস্টারিকা সমর্থকরা বিজয়ে আনন্দে মাতেন। মাঠজুড়ে কোস্টারিকা খেলোয়াড়েরা উৎসব শুর করেন। অন্যদিকে ৫-৩ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর গ্রিসের ৫ম পেনাল্টি শটটি নেওয়ার প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়।

এর আগে ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের ৯০ মিনিটে পাপাস্তাথোপৌলসের গোলে নাটকীয়ভাবে সমতায় ফেরে গ্রিস। তার এ গোলের সুবাদে ব্রাজিল-চিলির মতো কোস্টারিকা-গ্রিস ম্যাচটিও অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়।

অতিরিক্ত সময়ের প্রথম ১৫ মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া কোস্টারিকাকে গোল দিতে ব্যর্থ হয় গ্রিস। অপরদিকে অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই গোল করার সুযোগ তৈরি করেও কাজে লাগাতে পারেনি কোস্টারিকা।

ম্যাচের ১১৩ মিনিটে ক্রিস্তোদোলোপৌলসের শট ফিরিয়ে দিয়ে দলকে রক্ষা করেন কোস্টারিকার গোলরক্ষক কেইলর নাভাস।

এর আগে নির্ধারিত সময়ের গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় কোস্টারিকা। খেলার ৫১ মিনিটে বোলানসের পাস থেকে বল পেয়ে গোল করেন ব্রায়ান রুইজ। আর রুইজের এই গোলে গ্রিসকে হারিয়ে জয়ের স্বপ্নে মেতে ওঠে মাঠভর্তি কোস্টারিকার সমর্থকরা।

খেলার ৬৭ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন কোস্টারিকার ডিফেন্ডার অস্কার দুয়ার্তে। তবে দুয়ার্তেকে সরাসরি লাল কার্ড দেননি রেফারি। ম্যাচের ৪২ মিনিটে গ্রিসের ফরোয়ার্ড ক্রিস্তোদোলোপৌলসকে ফাউল করলে প্রথম প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন ‍দুয়ার্তে। এরপর ৬৭ মিনিটে আবারও অবৈধভাবে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়কে বাধা দেওয়ায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় দুয়ার্তেকে।

পিছিয়ে পড়া গ্রিস ১০ জনের কোস্টারিকাকে চেপে ধরার চেষ্টা করে। কিন্তু খেলার ৮০ মিনিট পর্যন্ত বেশ কয়েকটি আক্রমণ করেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায়নি।

এর আগে প্রথমার্ধে গ্রিসের বিপক্ষে ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেললেও গোল করতে ব্যর্থ হয়েছে চলতি বিশ্বকাপে চমক জাগানো দল কোস্টারিকা। অন্যদিকে বেশকিছু আক্রমণ থেকে গোল করার সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি গ্রিসের খেলোয়াড়রা।

খেলার ৮ মিনিটেই কোস্টারিকার খেলোয়াড় বোলানসের শট গ্রিসের গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়।

এরপর ম্যাচের ১২ মিনিটে গ্রিসের খেলোয়াড় লাজারস ক্রিস্তোদোলোপৌলসের শটও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

খেলার ২৩ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় কোস্টারিকা। কিন্তু বোলানসের ডেলিভারিতে হেড করে গোল করতে ব্যর্থ হন কোস্টারিকার সেলসো বোর্গেস।

এরপর ২৮ মিনিটে জর্জিওস ক্যারাগুনিসের শট আটকে দেন কোস্টারিকার গোলরক্ষক কেইলর নাভাস।

৩৬ মিনিটে ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন গ্রিসের খেলোয়াড় সামারিস।

৩৭ মিনিটে গ্রিসের ফরোয়ার্ড সালপিনগিদিসের শট দারুণ দক্ষতায় প্রতিহত করেন কোস্টারিকার গোলরক্ষক কেইলর নাভাস।

এরপর ৪১ মিনিটে ম্যাচের দ্বিতয় হলুদ কার্ড দেখেন কোস্টারিকার খেলোয়াড় দুয়ার্তে।

বাংলাদেশ সময়: ০৫০০ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।