ঢাকা: খেলা এখন খেলা নেই হয়ে গেছে যুদ্ধ। খেলা রাষ্ট্রনীতির অংশ।
বিশ্বকাপ ক্রিকেট আয়োজনের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ পরিচিতি পাচ্ছে। প্রসার লাভ করছে পর্যটন শিল্পের। সংস্কৃতিরও আদান প্রদান হচ্ছে। সবই হচ্ছে ক্রিকেটের কল্যাণে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) যে মিডিয়া গাইড প্রকাশ করেছে সেখানে তুলে ধরা হয়েছে বাংলাদেশ সম্পর্কে।
‘সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশ বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ার ছোট্ট এই দেশের জন্ম হয়েছে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট থেকে। ১৯৭১ সালে হানাদার পাক বাহিনীর সঙ্গে এক রক্ষক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্যদিয়ে পৃথিবীর মানচিত্রে প্রতিষ্ঠা পায় বাংলাদেশ। ’
সংক্ষিপ্ত পরিসরে যেমন ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে তেমনি ভৌগলিক অবস্থান, আয়তন, জনসংখ্যা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা পাওয়া যাবে মিডিয়া গাইডটি থেকে।
বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় উপকার হয়েছে বিদেশিদের জন্য বাংলাদেশের ভিসা পদ্ধতি, ভিসা সংক্রান্ত তথ্য, কাস্টমস, বিমানবন্দর দিয়ে যাতায়াতের সংক্ষিপ্ত তথ্য তুলে দেওয়ায়। বিমান পরিবহন সম্পর্কেও ধারণা দেওয়া হয়েছে মিডিয়া গাইডে।
যে ভাষার জন্য জীবন দিয়েছেন রফিক, জব্বার, সালাল, বরকতরা সেই বাংলাভাষা নিয়েও দু’একটি কথা লেখা হয়েছে। অন্য বিষয়গুলো নিয়ে খন্ড খন্ড ধারণা পাওয়া যাবে আইসিসি প্রকাশিত মিডিয়া গাইড থেকে।
দেশি-বিদেশি শত শত সাংবাদিকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে সুদৃশ্য বিশ্বকাপ মিডিয়া গাইড। আন্তর্জাতিক ওই সাংবাদিকদের হাত ধরে হয়তো তথ্যগুলো পৌছে যাবে এক দেশ থেকে অন্য দেশে।
বিশ্বকাপ মিডিয়া গাইডে নেতিবাচক কিছু বিষয়ও তুলে ধরা হয়েছে। সরাসরি নয় পরক্ষভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে কিছু কিছু বিষয়ে বাংলাদেশের মানুষকে বিশ্বাস করা যাবে না। নিরাপত্তার কথা ভেবে সতর্কতার সঙ্গে চলাফেরা, অন্ধকার এড়িয়ে চলা, টেক্সি বা সিএনজি চালকদের খপ্পর থেকে বাঁচতে পরিচয় পত্র দেখে যাতায়াত করা এবং মূল্যবান জিনিসপত্র সতর্কতার সঙ্গে বহন, হোটেলে সংরক্ষণ করার জন্য বলা হয়েছে বিদেশিদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১১