ঢাকা: হাজারো ক্রিকেটপ্রেমীর মুখরিত কোলাহলে বুধবার রাতভর জমজমাট ছিলো বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম এলাকা। সন্ধ্যায় বর্ণাঢ্য সাজে সজ্জিত নানা রঙের বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলে উঠতেই বাড়িঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসতে শুরু করে নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ।
ক্রিকেটপ্রেমী নারী-পুরুষ-শিশু হাতে হাতে জাতীয় পতাকা আর নানা প্ল্যাকার্ড নিয়ে ছুটে যায় স্টেডিয়াম অভিমুখে। ফলে রাত ৮টা থেকেই মিরপুর স্টেডিয়ামমুখী রোকেয়া সরণি, মাজার রোড, মিরপুর ১১ ও ১২ নম্বর সেকশন, চিড়িয়াখানা রোডসহ আশপাশের সকল রাস্তা-অলিগলি জুড়ে যেন জনসমুদ্রের সৃষ্টি হয়। রাত ৯টার পর থেকে ওইসব সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
প্রায় অভিন্ন অবস্থার সৃষ্টি হয় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামকে ঘিরেও। শত শত এবং একপর্যায়ে কয়েক হাজার তরুণ-তরুণীর ভিড় জমে ওঠে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের চারপাশ ঘিরেই। সচিবালয়, জিপিও, বায়তুল মোকাররমের উভয় গেট, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ভবনের আশপাশ, রাজউক ভবন এলাকাসহ বিরাট এলাকা জুড়ে লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠে। চারপাশ থেকে হাজারো কন্ঠে বাংলাদেশ ! বাংলাদেশ !! আমার বাংলাদেশ ধ্বণি প্রতিধ্বণিত হতে থাকে।
রাতে রোকেয়া সরণির বেশিরভাগ অংশ জুড়েই নারী-পুরুষ-শিশুর আনাগোনা ছিলো। দুই স্টেডিয়াম এলাকা ছাড়াও ভিড় জমে ওঠে বিমানবন্দর সড়কেও। জিয়া কলোনির কাছে স্থাপিত বিরাটকায় ক্রিকেট ব্যাটের আশপাশেও ছিল কৌতুহলী মানুষের আনাগোনা। রাত আড়াইটা পেরিয়ে গেলেও লোকজনকে রাস্তা থেকে চলে যাওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল না।
এদিকে সর্বস্তরের মানুষের এই স্বত:স্ফূর্ততার মাঝেও এতোটুকু ঢিল ছিলো না নিরাপত্তা ব্যাবস্থায়। রাজধানী জুড়েই ছিলো র্যাব পুলিশের টহল। বিভিন্ন চেক পোস্টে তল্লাসীর ঘটনাও চোখে পড়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১১