ঢাকা: ইংল্যান্ডের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিলেন রিজওয়ান চিমা। কোনো বোলারকেই পাত্তা দিচ্ছিলেন না।
আফ্রিদি ঢংয়ে খেলে ৭১ বলে ৯৩ রান তোলেন ১০টি চার ও পাঁচটি ছয়ের সাহায্যে। পাকিস্তান বংশো™ভূত রিজওয়ানের ইনিংসে কোন খুঁত ছিলো না। মারকাটারি ব্যাটিং দেখে নড়েচড়ে বসতে হয়। তার ইনিংসটির কল্যাণেই ম্যাচের শেষ দিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তোলে কানাডা।
দুই শিবিরের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দু’একজন বাদে কেউ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি সেখানে রিজওয়ানের দর্শনীয় ইনিংসের রহস্য সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে উত্তর ছিলো,“সবাই বল পেটাতে পারে না। প্রত্যেকের খেলার ধরণ ভিন্ন। কৌশলও সবার এক নয়। ”
ম্যাচের টানিং পয়েন্ট সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন,“প্রথমত আমাদের বোলাররা অসাধারণ বোলিং করায় ২৫০’র নিচে ইংল্যান্ডকে বেঁধে রাখা সম্ভব হয়। তারা যদি ২৯০ এর আশেপাশে থাকতো তাহলে আমরা লড়তে পারতাম না। আমাদের জন্য সেটাই টার্নিং পয়েন্ট। অপর দিকে ইংলিশ বোলাররা দ্রুতই আমাদের চার পাঁচটি উইকেট তুলে নেওয়ায় ম্যাচ শেষে এগিয়ে থাকে ওরা। আমাদের আর দুই তিনটি উইকেট থাকলে অন্যরকম হতে পারতো। ”
এদিকে কানাডার শেষ সারির ব্যাটসম্যানরা যে তাদের বুকে কাঁপন ধরিয়েছিলো সেটা স্বীকার করে ইংল্যান্ড ব্যাটসম্যান কেভিন পিটারসেন বলেন,“আজ আমাদের জন্য পরিস্থিতিটা একটু কঠিন হয়ে গিয়েছিলো। কানাডা ইনিংসের মাঝামাঝি পর্যন্ত আমরা এগিয়ে ছিলাম। বোলাররা আমাদের সুন্দর একটি সূচনা এনে দিলেও দিন শেষে অসাধারণ ভালো খেলেছে কানাডা। ”
তবে ইংল্যান্ডের কাছে জয়-পরাজয়ের চেয়ে উপমহাদেশের কন্ডিশনে অভ্যস্ত হওয়াটাই মূল বিষয় বলে জানালেন পিটারসেন.“আসলে ফলাফল আমাদের কাছে মূখ্য ছিলো না। আমরা অস্ট্রেলিয়ায় লম্বা সফর শেষে এখানে এসেছি। বিশ্বকাপের আগে ভিন্ন পরিবেশ ও ভিন্ন ধরণের উইকেটে দ্রুত মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি। এছাড়া ব্রড নিজেকে ফিরে পেয়েছে। বেশ ক’জন রানও তুলেছে। সেটাও আমাদের জন্য স্বস্তির। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৮ ঘন্টা, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১১