ঢাকা: বিশ্বকাপের টিকিট সংগ্রহ করতে গিয়েও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে দর্শকদের। সিটি ব্যাংকের একটি মাত্র ব্রাঞ্চ থেকে দেওয়া হচ্ছে টিকিট।
এখানেই শেষ নয়, ঢাকা বিভাগের সবগুলো জেলার টিকিট সরবরাহ করা হচ্ছে মাত্র দুটি জায়গা থেকে। খেলাপাগল এই মানুষগুলো দূরদুরান্ত থেকে এসেও নির্ধারিত সময়ে টিকিট নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারছে না। মজার বিষয়, যাদের রশিদে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে খেলার টিকিট সংগ্রহ করতে বলা হয়েছে; বিড়ম্বনার শিকার তারাও। অনেকে টিকিট পেতে শুক্রবার সকাল থেকে ভিড় করেছেন বিসিবি কার্যালয়ের সামনে। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করেও টিকিট পাননি। বিসিবি থেকে সঠিক নির্দেশনাও দেওয়া হয়নি।
টাঙ্গাইল থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে এসে তানিম ইতিয়াজের প্রথম দিনটা বেকার কেটেছে। টিকিট বিতরণ বুথের কাছাকাছি আসতে অন্ধকার নেমে আসে। খালি হাতে ফিরতে হয় বন্ধুর মেসে। বিড়ম্বনার কথা বাংলানিউজকে বলছিলেন ওই দর্শক,“আমরা টিকিট কিনলাম টাঙ্গাইল থেকে এখন সেই টিকিট নিতে হচ্ছে বনানী এসে। এভাবে ভোগান্তির মধ্যে আমাদেরকে না ফেললেই পারতো বিসিবি। উনারা কি বুঝতে পারছেন টিকিট কেন, ঢাকায় এসে সংগ্রহ এবং খেলা দেখা মিলিয়ে কতটাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে হুড়োপাড়া করে টিকিট কিনে ভুল করেছি। ”
এমন অব্যবস্থাপনার মধ্যদিয়ে টিকিট বিতরণের কারণ জানতে চাইলে বিশ্বকাপ টিকিট এন্ড সিটিং কমিটির চেয়ারম্যান জিএস হাসান তামিম বাংলানিউজকে বলেন,“একটু সমস্যা হয়ে গেছে। সিটি ব্যাংকের বনানীর বুথটা খুব স্লো কাজ করেছে। আমি ব্যাংকের কর্মকর্তাদের অনুরোধ করেছি দ্রুত টিকিট বিতরণের জন্য। অনেকে হয়তো বুঝতে পারেননি বিসিবি থেকে টিকিট নিতে হবে খেলার ৪৮ ঘন্টা আগে। তবে স্টেডিয়াম থেকে নয়, মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়াম থেকে টিকিট পাবেন। এছাড়া একদিনে সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়লে তো চলবে না। ”
প্রস্তুতিসহ মোট ১২টি ম্যাচের জন্য লাখ লাখ টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। সেগুলো দর্শকদের হাতে তুলে দিতে হিমশিম খাচ্ছে বিসিবি। বনানী শাখা থেকে তিনদিনে দেওয়া হবে ২০ হাজার টিকিট। বিশ্বকাপ ভোগান্তি হয়তো সামনে আরো অপেক্ষা করছে দর্শকদের জন্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১১