ঢাকা: জাতীয় বয়সভিত্তিক সাঁতারে রেকর্ডের ছড়াছড়ি। ১০০টি ইভেন্টের মধ্যে ২৩ টিতেই হয়েছে নতুন রেকর্ড।
সাধারণ মানুষের বোঝার উপায় নেই রেকর্ডের পেছনে গলদ কোথায়। এবারও হাতঘড়িতে সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ স্বয়ংক্রিয় সময় পরিমাপক যন্ত্র (ইলেকট্রনিক্স টাইমার) ব্যবহার করা হয়নি।
অথচ নিজেদের প্রকৃত অবস্থান যাচাইয়ের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম প্রতিযোগিতায় স্বয়ংক্রিয় সময় পরিমাপক যন্ত্র ব্যবহার করা। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনএসসি) গাফিলতির কারণেই আধুনিক এ সুবিধা কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন সাঁতারের কর্মকর্তারা।
ফেডারেশনের যুগ্ম-সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে জানিয়েছেন,“বয়সভিত্তিক এ প্রতিযোগিতা শুরুর আগে এনএসসির পরিচালক প্রশিক্ষণকে চিঠি দিয়ে স্বয়ংক্রিয় সময় পরিমাপক যন্ত্র বসানোর আবেদন করা হয়েছিলো। কিন্তু তারা আবেদনে সাড়া দেননি। তাই হাতঘড়িতেই সময় নির্ণয় করা হয়েছে। ”
তবে বর্তমান রেকর্ডকেও খাটো করে দেখছেন না সাঁতার ফেডারেশনের যুগ্ম-সম্পাদক। তার মতে, স্বয়ংক্রিয় সময় পরিমাপকের সঙ্গে হাতঘড়ির সময়ে খুব একটা তফাত হয় না।
প্রতিযোগিতা শেষে এসব নিয়ে আর ভাবার সময় নেই সাঁতারের কর্মকর্তাদের। তারা বরং একঝাক নতুন প্রতিভা বেরিয়ে আসায় খুশি। মোস্তফা বলেন,“গ্রামের পুকুরে সাঁতার কেটে অভ্যস্ত এই ছেলেমেয়েগুলো। তাদেরকে আধুনিক পদ্ধতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া গেলে নিঃসন্দেহে অনেক ভালো করবে। আমরা চেষ্টা করবো প্রতিভাবান ছেলেমেয়েদের জন্য একটা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে। ”
২২টি নতুন রেকর্ড হলেও একটিও আন্তর্জাতিক মানের নয় বলে জানিয়েছেন মোস্তফা। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেতে হলে এই সাঁতারুদের আরো অনেক উন্নতি করতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৯ ঘন্টা, জুলাই ১৭, ২০১০