ঢাকা: ‘উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে আমরা প্রবেশ করবো ক্রিকেট বিশ্বের এক পর্যায় থেকে অন্য পর্যায়ে। যা আমাদের এগিয়ে নেবে আরও অনেক দূর।
“বিশ্বকাপের জন্য আমরা শতভাগ প্রস্তুত। এরইমধ্যে শেষ হয়েছে সবধরণের সংস্কার কাজ। অপেক্ষা করছি ১৭ ফেব্রুয়ারি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য। ভাষার মাসে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ। এজন্য উদ্বোধনী দিনটিকে উৎসর্গ করবো বাংলার মানুষ ও ভাষা শহীদদের উদ্দেশ্যে”- বলছিলেন বিসিবি সভাপতি।
৩৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে সরকার। যথাসময়ে অর্থ পাওয়ায় কাজ করতে সমস্যা হয়নি। মাঠ সংস্কার ও নতুন নতুন সরঞ্জাম দ্রুত ক্রয় করা সম্ভব হয়েছে।
বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েও কথা বলেছেন আ হ ম মোস্তফা কামাল। বিশ্বকাপের জন্য সিলেট, ফতুল্লাহ ও খুলনার স্টেডিয়াম সংস্কার করা হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে ক্রিকেটকে ছড়িয়ে দিতে এই ভেন্যুগুলোকে ব্যবহার করা হবে বলে জানান তিনি।
আলোচনা অনুষ্ঠানে ক্রিকেটারদের জন্য একটি সুখবরও দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। অন্তত ১০০ জন ক্রিকেটারকে বেতনের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা আছে মোস্তফা কামালের। এছাড়া ওয়ানডে ও টেস্ট দলের অনুরূপ বিকল্প দল গঠনের চিন্তা-ভাবনাও করছেন। বিকল্প দল বলতে ‘এ’ দলকে বুঝিয়েছেন বিসিবি সভাপতি।
বিশ্বকাপের আগে রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় সর্বদলীয় কমিটি গঠন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কামাল বলেন,“আপাতত এমন কোন পরিকল্পানা নেই। তবে এই বিষয়ে কিছু করা যায় কিনা তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা আছে। ”
অনুষ্ঠানে আ হ ম মোস্তফা কামাল ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিবিসির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস, ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির সভাপতি মোস্তাক হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১১