ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

বাংলাদেশ অধিনায়কের দৃষ্টি কোয়ার্টার ফাইনালে

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০১১
বাংলাদেশ অধিনায়কের দৃষ্টি কোয়ার্টার ফাইনালে

ঢাকা: তিনি আসবেন বলে অপেক্ষায় ছিলেন দেশ-বিদেশের সাংবাদিকরা। তিনি মানে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলনেতা, দশম বিশ্বকাপের সবচেয়ে কনিষ্ঠ অধিনায়ক।

বয়স চব্বিশ। মায়াবী মুখে তারুণ্যের ছাপ স্পষ্ট। তারুণ্যের জয় হোক।

বিশ্বকাপ প্রাক সংবাদ সম্মেলনের প্রথম অধিনায়ক সাকিব আল হাসান হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে কৌতুহলী চোখগুলো একদৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলো। কি না কি বলে ফেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। শেষপর্যন্ত চমক দেওয়ার মতো কিছু বলেননি। বরং কঠিন প্রশ্নকে সহজ করে কৌশলী উত্তর দিয়েছেন।

যেমন কোন দল বিশ্বকাপ জিততে পারে এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন,“যে কেউ শিরোপা জয়ের ক্ষমতা রাখে। নির্দিষ্ট কোন দলের নাম আমি এক্ষেত্রে বলবো না। ” সত্যিই তো খেলার আগে আশা ছেড়ে দেওয়া মানে নিজেদের মৃত ঘোষণা করা। সাকিব তো তরুণ ক্রিকেটার। তার প্রত্যাশা অনেক বেশি হওয়া স্বাভাবিক।

তবে প্রত্যাশার বেলুন অতিমাত্রায় ফোলাননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। লাগামহীন কথার ধারে কাছেও চাপেননি। উল্টো বিশ্বকাপে তার দলের সম্ভাবনা নিয়ে হিসেবি উত্তর দিয়েছেন,“প্র্যাকটিস ভালো হয়েছে। এখন পর্যন্ত দলে কোন চোট নেই। আশা করি ভালো কিছু হবে। আমরা মূলত নিজেদের উন্নতির দিকে মনযোগ দেব। দ্বিতীয় পর্বে খেলতে হলে অন্তত চারটি ম্যাচ জিততে হবে। তিনটি ম্যাচ জিতলে অনেক হিসেবে নিকেশের মারপ্যাচে পড়তে হবে। আমার মনে হয় আমাদের সেই সামর্থ্য আছে। ”

বাংলাদেশ ‘এ’ গ্রুপে, ভারত, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আয়ারল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস এর বিপরীতে খেলবে। বিশ্বক্রিকেটের অন্যতম চার পরাশক্তির সঙ্গে টক্কর দিয়ে আপাতত কোয়ার্টার ফাইনালের জন্য লক্ষ্য স্থির করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। বলছিলেন,“প্রতিটি ম্যাচ আলাদা করে দেখতে চাই। যেদিন খেলতে নামবো জেতার জন্যই খেলবো। নির্দিষ্ট কোন দলের জন্য আমরা পরিকল্পনা করিনি। প্রত্যেক দলই আমাদের কাছে সমান। ”

২০০৭’র বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের একজন কনিষ্ঠ সদস্য ছিলেন সাকিব। চার বছর পরে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। উত্থানটা বেশ। বয়সে তরুণ হলেও নেতৃত্বগুণের প্রশংসা না করে উপায় নেই। নেতা সাকিবের জীবনযাপনে আমূল পরিবর্তনও আসেনি। আগের মতো সব চলছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেছেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার,“ড্রেসিং রুমে কোন পরিবর্তন আসেনি। কেউ যে আমাকে দেখে ভেবেচিন্তে কথা বলে তাও না তেমনি আমিও কোন কিছু মনে করে অন্যদের সঙ্গে কথা বলি না। সবকিছু আগের মতো স্বাভাবিক নিয়মে চলছে। ”

১৯-২০ বছররে তরুণ ওয়েস্ট ইন্ডিজে বিশ্বকাপ খেলেছেন ফুরফুরে মেজাজে। এখন অনেক দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হয়। দায়িত্ববোধটা বাড়িয়ে দিয়েছে নেতৃত্ব। সামর্থ্য থাকলে কোন কিছুতে সমস্যা নয় বলে জানিয়েছেন সাকিব।

আপাতত প্রথম ম্যাচ নিয়ে ভাবছে বাংলাদেশ। এই মুহূর্তে ফর্মের তুঙ্গে থাকা ভারতকে মোকাবেলার রণকৌশল তৈরি করছেন অধিনায়ক। আগের বিশ্বকাপের মতো চমক থাকলেও থাকতে পারে। নিজেদের মাঠে সামান্য হলেও সুবিধা থাকবে। সাকিবও স্বীকার করেছেন,“মিরপুরের মাঠে চার বছর ধরে খেলছি। সর্বশেষ দুটি ভালো সিরিজ খেলেছি। আশা করি কন্ডিশন থেকে কিছুটা সুবিধা পাওয়া যাবে। ”

বাংলাদেশ সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে ২০১০ সালের ডিসেম্বরে। দেখতে দেখতে প্রায় দুই মাস হতে চলেছে আন্তর্জাতিক ম্যাচের সঙ্গে কোন সম্পর্ক নেই সাকিব বাহিনীর। সুযোগটা থাকলে ভালো হতো বলে মনে করেন অধিনায়ক,“একটা আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলা গেলে অবস্থানটা বুঝতে পারতাম। তবে প্রিমিয়ার লিগের খেলা এবং অনুশীলন মিলিয়ে একেবারে মন্দ হয়নি। ১৯ ফেব্রুয়ারির আগে দুটি প্র্যাকটিস ম্যাচ আছে, সেখানেও নিজেদের যাচাই করে নিতে পারবো। ” 

বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘন্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad